Registry Editing

নিয়ন্ত্রণ করুন যেকোন ড্রাইভে প্রবেশাধিকার

আপনি যদি ব্যবহারকারীকে ড্রাইভে প্রবেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতে চান, তাহলে আপনাকে নিচে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।

প্রথমে Start > Run এ গিয়ে REGEDIT টাইপ করে এন্টার দিয়ে রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করুন। এরপর রেজিস্ট্রি এডিটর থেকে HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\Explorer ওপেন করুন। এখানে Explorer কীর ডান পার্শ্বস্থ প্যানেলে NoViewOnDrive নামে নতুন একটি DWORD ভ্যালু (REG_DWORD) তৈরি করে এর উপর ডাবল ক্লিক করে এটি ওপেন করুন এবং নিচে বর্ণিত নিয়মানুযায়ী উপযুক্ত মান প্রবেশ করান। এরপর এডিটর বন্ধ করে ফিরে এসে কম্পিউটার লগ অফ অথবা রিস্টার্ট করুন। এবার সবগুলো ড্রাইভ দেখা যাবে ঠিকই কিন্তু নিষিদ্ধ ড্রাইভটিতে প্রবেশ করতে গেলেই একটা এরর ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে। নিয়মটা হল : আপনি যদি সবগুলো ড্রাইভে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চান তাহলে 67108863 মানটি Decimal ভ্যালু হিসেবে প্রবেশ করান। এছাড়া কোন নির্দিষ্ট ড্রাইভ নিষিদ্ধ করতে চাইলে তার জন্য নির্দিষ্ট একটি মান প্রদান করতে হবে। যেমন A এর জন্য 1, B এর জন্য 2, C এর জন্য 4, D এর জন্য 8, E এর জন্য জন্য 16 এভাবে প্রতিটি ড্রাইভ লেটারের জন্য এই মান দ্বিগুণ হতে থাকবে। এই হিসেবে Z এর জন্য মান হবে 33554432. আপনি যদি দুই বা ততোধিক নির্দিষ্ট সংখ্যক ড্রাইভকে একসাথে নিষিদ্ধ করতে চান, তাহলে আপনাকে সেই ড্রাইভগুলোর মানসমূহের যোগফল ব্যবহার করতে হবে। যেমন আপনি যদি D এবং G ড্রাইভ দুটোকে নিষিদ্ধ করতে চান, তাহলে আপনাকে D এর মান 8 এবং G এর মান 64 এর যোগফল 72 NoDrives এ প্রবেশ করাতে হবে।সূত্র
এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১২:৩৫ pm 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

উইন্ডোজ এক্সপিতে Login, Logoff, Startup এবং Shutdown ষ্ট্যাটাস ম্যাসেজ বন্ধ করুন

উইন্ডোজ এক্সপিতে লগইন, লগঅফ, ষ্টার্টাপ এবং শাট ডাউন ষ্ট্যাটাস ম্যাসেজ বন্ধ করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন।

০১. রেজিস্টি্র এডিটর ওপেন করুন। Win Key + R চাপুন অথবা Start এ গিয়ে Run এ ক্লিক করুন।
০২. regedit লিখে এন্টার দিন।
০৩. HKEY_LOCAL_MACHINE -> SOFTWARE -> Microsoft -> Windows -> CurrentVersion -> policies -> system এ Click করুন।

DisableStatusMessages এ ভ্যালু 1 সেট করুন। DisableStatusMessages নামে কোন কী না থাকলে একটা DWORD যুক্ত করুন। নাম হবে DisableStatusMessages। এটায় ভ্যালু 1 দিবেন।

পিসি রিষ্টাট দিন।

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১১:১২ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

ফোল্ডার অপশন হারিয়ে গেছে আমি যে ভাবে ফিরিয়ে আনি…..


অনেক সময় টুলস্ মেনুর অধীনে ফোল্ডার অপশন হারিয়ে যায় । এটি না থাকলে অনেক বিপত্তিতে পরতে হয়। ধরুন আপনি অপনার কোন গুরুত্বপূর্ন ফোল্ডার বা ফাইল হিডেন করে রেখেছেন কিন্তু আপনার এই ফোল্ডার অপশন হারিয়ে গেছে । এখন আপনি ঐ ফোল্ডার খুলতে পারবেন না।এখন এই অপশন ফিরিয়ে আনতে আপনাকে যা করতে হবে।
স্টার্ট মেন্যুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করতে হবে (এই রান কমান্ড আপনি কি বোর্ড থেকে উইন্ডোজ কি+আর চেপে ও পেতে পারেন)। এর পর

রান কমান্ডে লিখতে হবে gpedit.msc এর পর ওকে তে ক্লিক করতে হবে।
এর পর ইউজার কনফিগারেশন এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

তার পর এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টেমপ্লেট এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

এর পর উইন্ডোজ কম্পোনেন্ট এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

একই ভাবে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

একই ভাবে উই রিমুভ দি ফোল্ডার অপশন এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে। এর পর

এই ডায়ালগ বক্স থেকে ইনেবল্ড সিলেক্ট করে ওকে করুন এবং পুনরায় নট কোনফিগারড সিলেক্ট করে কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন আপনি ফোল্ডার অপশনটি পেয়ে যাবেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/com/29060626

//

লগ-অনের সময় প্রিয়জনের ছবি

নেটওয়ারকে থাকা কমপিউটারে কাজ শুরু করতে লগ-অন করতে হয়। এ কথা অজানা নয়। প্রতিবার লগ-অনের আগে প্রিয়জনের ছবি ইচ্ছা করলেই দেখা যায়। এটি কিন্তু ডেস্কটপের ওয়ালপেপার নয়। এটি করতে চাইলে

* Start/Run-এ গিয়ে regedit লিখে Enter দিয়ে Registry Editor খুলুন।
* বাম পাশের প্যানেল থেকে HKEY_USERS\DEFAULT\Control Panel\Desktop-এ যান।
* ডান প্যানেলে রাইট ক্লিক করে New>String Value নিন। এর নাম দিন Wallpaper ।
* এতে ডাবল ক্লিক করে Edit String উইন্ড আনুন। Value Data-তে ছবিটির পুরো স্থান লিখে দিন। যেমন :- C:\ihfarid\My Documents\ihfarid’s Pictures\weall । ছবিটি অবশ্যই *.bmp ফরম্যাটে হতে হবে। *.jpg ফরম্যাটের হলে অ্যাডবি বা ছবি সম্পাদনের সফটওয়ার দিয়ে *.bmp ফরম্যাট করে নিন।
* Registry Editor বন্ধ করে কমপিউটার Restart করুন।

লগ-অনের আগে কাঙ্খিত ছবিটি দেখতে পাবেন। এই টিপসটি Windows XP-এর জন্য প্রযোজ্য।

http://techtunes.com.bd/tips-and-tricks/tune-id/3034/

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১১:৫১ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

এক্সপি জেনুইন করার একটি সহজ উপায়

১। নোটপেড খুলুন। start>run>notepad২। নোটপেডে পেষ্ট করুন নিচের অংশটুকু( ইংরেজিতে)Windows Registry Editor Version 5.00[HKEY_LOCAL_MACHINE\SOFTWARE\Microsoft\Windows NT\CurrentVersion]”CurrentBuild”=”1.511.1 () (Obsolete data – do not use)””ProductId”=”55274-640-7450093-23464″”DigitalProductId”=hex:a4,00,00,00,03,00,00,00,35,35,32,37,34,2d,36,34,30,2d,\37,34,35,30,30,39,33,2d,32,33,34,36,34,00,2e,00,00,00,41,32,32,2d,30,30,30,\30,31,00,00,00,00,00,00,00,62,fc,61,4c,e0,26,33,16,05,d3,54,e7,a0,de,00,00,0,00,00,00,49,36,c2,49,20,47,0c,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,0,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,33,33,35,30,30,00,00,00,00,00,00,00,65,10,0,00,74,99,dd,b0,f7,07,00,00,98,10,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,0,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,00,c4,ae,d6,1c”LicenseInfo”=hex:e7,77,18,19,f8,08,fc,7d,e8,f0,df,12,6e,46,cb,3f,ad,b2,dd,b9,\15,18,16,c0,bc,c3,6a,7d,4a,80,8b,31,13,37,5a,78,a2,06,c8,6b,b9,d9,dd,cc,6a,\9c,c5,9b,77,aa,07,8d,56,6a,7c,e4[HKEY_LOCAL_MACHINE\SOFTWARE\Microsoft\Windows NT\CurrentVersion\WPAEvents]”OOBETimer”=hex:ff,d5,71,d6,8b,6a,8d,6f,d5,33,93,fd৩। সেভ করুন wind.reg এইনামে। এক্সটেনশানটি .reg হতে হবে।এখন ফাইলটি ডাবলক্লিক করে ইয়েস দিন। আপনার উইনডোজ এখন জেনুইন!! বিশ্বাস হচ্ছে না? এখান থেকে কনফার্ম হন।

source : http://www.somewhereinblog.net/blog/amit007/29010344

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ৮:১৫ pm 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের প্রাথমিক ধারণা

রেজিস্ট্রি এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ কাজটি সুদক্ষ ও অভিজ্ঞদের জন্য, সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য নয়। কেননা, রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে সামান্য ভুলের কারণে সিস্টেম ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। যারা দীর্ঘদিন ধরে কমপিউটারে কাজ করছেন এবং রেজিস্ট্রি এডিটিং সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট ধারণা রাখেন বা মোটামুটি অভিজ্ঞ, তাদের জন্য এবারের পাঠশালা বিভাগে তুলে ধরা হয়েছে নিরাপদে রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রেজিস্ট্রি হলো এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে সম্পর্কে বিপুলসংখ্যক কমপিউটার ব্যবহারকারী হয় পুরোপুরী অজ্ঞ অথবা সযত্নে তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে যান যৌক্তিক কারণে। কেননা, উইন্ডোজ যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে কোনো অবস্থাতেই রেজিস্ট্রি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা উচিত হবে না। যদি সিস্টেম যথাযথভাবে কাজ করতে না পারে, তাহলে অদক্ষ বা শিক্ষানবিসদের উচিত হবে না রেজিস্ট্রি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা। কিন্তু, রেজিস্ট্রি কী, কখন ঝুঁকি নিয়ে এতে কাজ করা যায় ইত্যাদি প্রশ্ন সঙ্গত কারণে সবার মনে জাগতেই পারে। এ বিষয়গুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এবারের পাঠশালা বিভাগে।

রেজিস্ট্রি হলো এক বিশাল ডাটাবেজ, যা উইন্ডোজসংশ্লিষ্ট সেটিং স্টোর করতে ব্যবহার হয়। এর সাথে থাকে কমপিউটারে ইনস্টল করা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের তথ্য, যা উইন্ডোজের অপারেশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কন্ট্রোল প্যানেল অথবা প্রোগ্রাম অপশন কিংবা প্রেফারেন্স স্ক্রিন ব্যবহার করে সেটিংয়ে কোনো পরিবর্তন করা হলে, সেই পরিবর্তনগুলোও রেজিস্ট্রিতে রেকর্ড হয়ে থাকে। সুতরাং সবসময় রেজিস্ট্রির গভীরে এক্সেসের প্রয়োজন হয় না। কেননা, উইন্ডোজ ব্যবহার করে খুব সহজইে সেটিংগুলোর সমন্বয় করা যায়। তবে রেজিস্ট্রি কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে জানতে পারলে, আপনি কমপিউটারের ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবেন এবং লুকানো সেটিংয়ে এক্সেস করতে পারবেন। এ কাজটি যেভাবে শুরু করতে হবে এবং যেভাবে নিরাপদে সম্পন্ন হবে, তা নিচে ধাপে ধাপে বর্ণিত হলো :

ব্যাকআপ

মনে রাখতে হবে, রেজিস্ট্রি এডিট করা এক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। দুর্ঘটনাক্রমে ভুল সেটিংয়ে পরিবর্তন করা হলে উইন্ডোজ এবং পিসি অপারেশনে অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ লেখা পড়ে অনভিজ্ঞ বা অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রি এডিট করতে গিয়ে কোনোরূপ ক্ষতির মুখোমুখি হলে তার দায়দায়িত্ব অন্য কেউ বা লেখক কেউ নিতে বাধ্য নন। রেজিস্ট্রি এডিটের উল্লিখিত কাজগুলো করতে চাইলে একান্তই নিজ দায়দায়িত্বে করতে হবে। সুতরাং রেজিস্ট্রি এডিটের কাজ করতে চাইলে প্রথমে এর একটি ব্যাকআপ অবশ্যই তৈরি করতে হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। তৈরি করুন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট এবং রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের কাজ শুরুর আগে মূল্যবান ডাটার ব্যাকআপ তৈরি করুন। রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মনে রাখা উচিত, এখানে কোনো আনডু (Undo) ফিচার নেই।

রেজিস্ট্রিতে এক্সেস

রেজিস্ট্রিতে কাজ করতে চাইলে রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করতে হবে। রেজিস্ট্রি এডিটর কয়েকভাবে ওপেন করা যায়। ভিসতায় রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করার জন্য Start-এ ক্লিক করে regedit টাইপ করে প্রদর্শিত লিস্ট থেকে এন্ট্রি সিলেক্ট করুন। আর এক্সপির জন্য Start-এ ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Run এবং প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্সে regedit টাইপ করে OK-তে ক্লিক করুন। বিকল্প হিসেবে regedit টাইপ করে এন্টার চাপার আগে যেকোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ কী চেপে ধরে সাথে সাথে R চাপুন। আর ভিসতায় User Account Control বক্সে Continue-এ ক্লিক করতে হবে, যদি এটি প্রদর্শিত হয়। রেজিস্ট্রি এডিটর লোড হবার পর স্ক্রিন উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের মতো হবে। রেজিস্ট্রির বিভিন্ন কম্পোনেন্ট প্রদর্শিত হবে বাম প্যানেলে ট্রি স্ট্রাকচারে অনেকটা এক্সপ্লোরারের ফোল্ডার প্রদর্শনের মতো, আর বাড়তি কনটেন্ট প্রদর্শিত হয় ডান প্যানেলে।

রেজিস্ট্রির গভীরে

রেজিস্ট্রি পরিবেষ্টিত পারিভাষিক শব্দাবলী আমাদের অনেককেই বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই রেজিস্ট্রি নিয়ে কাজ করার আগে কিছু প্রধান পদবাচ্য বা টার্ম সম্পর্কে আমাদের ধারণা লাভ করা উচিত।


চিত্র-০১

বাম প্যানেলে রয়েছে প্রধান পাঁচটি এন্ট্রি। এগুলো হাইভ (hive) বা তথ্যভান্ডার হিসেবে বিবেচিত এবং এগুলোর প্রতিটি বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সেটিং স্টোরেজসংশ্লিষ্ট।

HKEY_CLASSES_ROOT হাইভ বা সংগ্রহশালা মূলত ব্যবহার হয় ফাইলসংশ্লিষ্ট তথ্য স্টোর তথা জমা করার কাজে।

HKEY_CURRENT_USER এটি বর্তমানে ব্যবহারকারীর উইন্ডোজে লগ করা সেটিংগুলো ধারণ করে।

HKEY_LOCAL_MACHINE এটি সিস্টেমে ইনস্টল করা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের তথ্য স্টোর করে এবং এই সেটিংগুলো সব ব্যবহারকারীর কাজে প্রয়োগ হয়। পক্ষান্তরে HKEY_USERS ধারণ করে HKEY_CURRENT_USER সেকশনের লিঙ্কগুলো। খুব সীমিতসংখ্যক তথ্য মজুদ হয় HKEY_CURRENT_CONFIG লোকেশনে এবং HKEY_LOCAL_MACHINE লোকেশন থেকে টেনে আনা তথ্যসহ এটি বর্তমানে সিস্টেম কনফিগারেশনসংশ্লিষ্ট তথ্য ধারণ করে।

বাম প্যানেলে প্রদর্শিত মূল এন্ট্রিগুলোর যেকোনো একটির পাশের + চিহ্নে ক্লিক করে তা এক্সপান্ড বা সম্প্রসারণ করলে প্রদর্শিত হবে এক সিরিজ ফোল্ডার, যা কী হিসেবে পরিচিত। এগুলো ধারণ করতে পারে আরো সাব-কী। ডান প্যানেল প্রদর্শিত আইকনগুলো ভ্যালু হিসেবে পরিচিত এবং এগুলো স্ট্রিং, বাইনারি, DWORD এবং এক্সপান্ডেবল স্ট্রিং ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।


চিত্র-০২

ডান প্যানেল তিন কলামে বিভক্ত, যার প্রথমটিকে লেবেল করা হয়েছে Name হিসেবে। প্রকৃত অর্থে ভ্যালু কি তাই এটি নির্দেশ করে। Type কলাম প্রদর্শন করে ভ্যালুতে যে ধরনের কাজ বা দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আর Data কলাম প্রদর্শন করে সেটিং, যা ভ্যালুতে প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যালুর ধরনের ওপর নির্ভর করে ডাটা কলাম ধারণ করে পাথ, একটি নাম্বার অথবা একটি ওয়ার্ড। ভ্যালুতে কোনো সেটিং নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ‘Value not set’ ওয়ার্ড দিয়ে নির্দেশিত হয়।

রেজিস্ট্রি নিয়ে কাজ করা

রেজিস্ট্রি এডিটিং প্রসঙ্গ আসলে নিশ্চিত হওয়া যায় আপনি কিছু পরিবর্তন, যুক্ত বা ডিলিট করতে যাচ্ছেন। রেজিস্ট্রি এডিটিংয়ের কোনো ব্যাপারে যদি নিশ্চিত হতে না পারেন, তাহলে বার বার চেক করুন। যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে এড়িয়ে যান। রেজিস্ট্রি এডিটিং এক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং কোনো ভুল হলে ব্যবহৃত কমপিউটারকে ব্যবহার অযোগ্য করে ফেলতে পারে মুহূর্তের মধ্যে। সুতরাং, যেকোনো ধরনের পরিবর্তন করার আগে অবশ্যই সবকিছুর ব্যাকআপ তৈরি করা উচিত। অথবা রেজিস্ট্রির প্রয়োজনীয় অংশবিশেষের ব্যাকআপ অবশ্যই করা উচিত, এ কাজটি বেশ কয়েকভাবে করা যায় :

প্রথম অপশন হলো ধারণ করা ডাটার সুরক্ষার জন্য সাব-কী ব্যাকআপ তৈরি করা। এজন্য একটি সাব-কীতে রাইট ক্লিক করে আবির্ভূত মেনু থেকে সিলেক্ট করুন Export অপশন। এবার আবির্ভূত ডায়ালগ বক্সে ব্যাকআপের জন্য একটি অর্থবহ নাম দিন এবং ‘Save as type’ মেনুর ‘Registration Files (*.reg)’ অপশন সিলেক্ট করা আছে কিনা, তা নিশ্চিত করে ওকে করুন। এর ফলে ব্যাকআপ ফাইল তৈরি হবে।


চিত্র-০৩

যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্যাকআপ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেন। এজন্য উপরে উল্লিখিত তৈরি করা .reg ফাইলে ডান ক্লিক করে Merge অপশন সিলেক্ট করতে হবে। রেজিস্ট্রি ব্যাকআপের প্রধান প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহারের আগে নোট করা দরকার কখন .reg ফাইল রেজিস্ট্রিতে বিপরীতক্রমে মার্জ করবে। কেননা, এটি কী-তে যে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল তার সবই আনডু করে না। যেকোনো ডাটা মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করলে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, তবে কোনো কিছু যুক্ত করলে তা মোছা যায় না।

আর এ কারণে সম্পূর্ণ হাইভকে ব্যাকআপ করা দরকার। এজন্য যেকোনো কী-তে ডান ক্লিক করে Export অপশন সিলেক্ট করুন আগের বর্ণিত উপায়ে। এসময় লক্ষ রাখতে হবে, Save as type মেনুর Registry Hive Files (*.*) ফাইল যেন সিলেক্ট করা থাকে। যেসব ফাইল সৃষ্টি হয়, সেসব ফাইলে এক্সটেনশন থাকে না। তবে এটি রেজিস্ট্রিতে রি-ইমপোর্ট করা যায় কোনো পরিবর্তনকে আনডু করার জন্য। এটি .reg ফাইলের মতো নয়, যা রেজিস্ট্রির সাথে মার্জ করা যায়। হাইভকে ইমপোর্ট করতে হয় রেজিস্ট্রি এডিটরের মধ্যে। ফাইল মেনুতে ক্লিক করুন এবং ইমপোর্ট অপশন সিলেক্ট করুন। এবার ড্রপ ডাউন মেনু থেকে Registry Hive Files (*.*) সিলেক্ট করুন। এরপর Open-এ ক্লিক করার আগে যে ফাইল তৈরি করেছিলেন তা নেভিগেট করে সিলেক্ট করুন। এই অপশনকে নিশ্চিত করার জন্য Yes-এ ক্লিক করুন এবং OK-তে ক্লিক করে অপারেশন শেষ করুন।

হাইভ ব্যাকআপ করা মানে হলো রেজিস্ট্রি ব্যাকআপ সেকশনের সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। কেননা, যখন ব্যাকআপ ইমপোর্ট করা হয়, তখন যেসব পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে। কিভাবে রেজিস্ট্রির ব্যাকআপ ও রিস্টোর তৈরি করা যায়, সে সম্পর্কে বাড়তি তথ্য পাওয়া যাবে মাইক্রোসফটের ওয়েব সাইটে http://snipuprl.com.3zyar.

যেভাবে এগিয়ে যাবেন

যখন রেজিস্ট্রিতে নেভিগেট করা হয়, তখন আপনি ঠিক কোথায় আছেন, তা ট্র্যাক করা বা মনে রাখা আপাত দৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও প্রকৃত অর্থে তা বেশ সহজ। আর তা সহজ হয়েছে স্ট্যাটাসবারের সহায়তার কারণে, যা উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের মতো রেজিস্ট্রি এডিটের স্ক্রিনের নিচের দিকে যুক্ত করা হয়েছে। একটি ছোট তথ্য প্যানেল যা ডিসপ্লে করে বর্তমানে সিলেক্ট করা কী-এর অ্যাড্রেস। যদি এটি দেখা না যায়, তাহলে View মেনুতে ক্লিক করে নিশ্চিত করুন যে, Status Bar অপশন টিক করা আছে কিনা।

অনাকাঙ্ক্ষিত কী এবং ভ্যালু ডিলিট করতে চাইলে যথাযথ আইটেমকে ডান ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Delete অপশন। লক্ষণীয়, নিরাপত্তার জন্য ডিলিট অ্যাকশন কার্যকর করার আগে সেই আইটেমকে রিনেম করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট ভ্যালুতে যুক্ত ডাটা এডিট করতে চাইলে ডবল ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সম্পন্ন করে ওকে করুন।

রেজিস্ট্রি টোয়েকের ক্ষেত্রে নতুন কী তৈরির প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কী নেভিগেট করে ওকে করুন, যা কাজ করে প্যারেন্ট হিসেবে। এবার Edit-এ ক্লিক এবং New-তে ক্লিক করার আগে কী-এর নাম দিয়ে এন্টার দিন। এরপর ভ্যালুকে এসাইন করা যেতে পারে ডবল ক্লিকের পর।

শেষ কথা

এখানে মূলত আলোচনা হয়েছে অতি সংক্ষেপে রেজিস্ট্রি নিয়ে কাজ করার প্রাথমিক কিছু ধারণা সম্পর্কে। রেজিস্ট্রি নিয়ে কাজ করতে গেলে রেজিস্ট্রি এডিটের আমরা সাধারণত দেখতে পাই HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Run এবং HKEY_LOCAL_MACHINE\SOFTWARE\Microsoft\/Windows\CurrentVersion\Run। এখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু প্রোগ্রাম কনফিগার করা হয়েছে উইন্ডোজের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করার জন্য। এখানের কোনো প্রোগ্রাম যদি দরকার না হয়, তাহলে স্টার্টআপ সময় দ্রুততর করার জন্য সেগুলো ডিলিট করে দিতে পারেন। তবে যাই করেন, প্রথমেই ব্যাকআপ তৈরি করে নিন। যদি কোনো ব্যাপারে সন্দেহ থাকে বা নিশ্চিত হতে না পারেন, তাহলে এডিট না করে এড়িয়ে যান। রেজিস্ট্রি এডিট করতে গিয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান