Networking

পিসি সমস্যা, সমাধান, ধাপে ধাপে

যখন পিসিতে স্বাভাবিক কাজ করি, তখন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলে ভালোই লাগে। কিন্তু কমপিউটার সবসময় যে স্বাভাবিক আচরণ করে, তা নয়। কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যেমন- ইন্টারনেট সার্ফিং, ডকুমেন্ট তৈরি করা এবং ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে। যখন কমপিউটারে সব ধরনের কাজ প্রায় ধীরগতিতে চলতে থাকে, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবে ধরে নিতে পারি, কমপিউটারে বিপর্যয় ঘটবে।

যদি ইন্টারনেট সংযোগের কারণে সমস্যা হয়, যা হঠাৎ করে চলমান প্রোগ্রামকে অদৃশ্য করে অথবা আপনার প্রোগ্রাম কোন সমস্যার কারণে সবধরনের কাজ করতে প্রত্যাখ্যান করছে। কিন্তু কেনো করছে? এসব সমস্যার সমাধান কিভাবে নিজে নিজে করতে পারবেন, এজন্য কিভাবে এগুতে হবে তাই ধরা হয়েছে এ লেখায়। মূলত সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং যথাযথ বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে ইন্টারনেট, ভাইরাস এবং প্রোগ্রামসংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যার কারণ নিরূপণ ও সমাধান নিজে নিজেই অনায়াসে করতে পারবেন নিচে উলি­খিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে।

এ কথা সত্য, কমপিউটার ও কমপিউটারসংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি পণ্যের ট্রাবলশূটিংয়ের বিভিন্ন উপায় থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাবলশূট করা যায় প্রায় একইভাবে বা একই নিয়মে। যেমনটি মেকানিক্যাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে করা হয় কিছু লজিক প্রয়োগ করে। ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে এ লেখায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে কয়েকটি সহজ ইউনিক ট্রাবলশূট গাইডসহ অ্যাডভান্সড ট্রাবলশূট গাইড, যার মাধ্যমে পেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান।

আতঙ্কিত না হওয়া

যখনই কোনো সমস্যা দেখা দেবে, তখন কোনো অবস্থায় বিচলিত বা আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। যখন কোনো প্রোগ্রাম বা ডিভাইসের চালু বা কার্যকর হবার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন বাজে সেটিং দিয়ে পিসি বা ডিভাইসকে সক্রিয় করার চেষ্টা অনর্থক সময় নষ্ট করা ছাড়া কোনো কাজ তো করেই না, বরং নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে।

সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু না জেনে না বুঝে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে বরং সামান্য কিছু লজিক প্রয়োগ করে সমস্যার কারণ নিরূপণের চেষ্টা করা উচিত। সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে কমপিউটার ও কমপিউটার নেটওয়ার্ককে মনে হতে পারে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে, আসলে তা নয়। এগুলো মূলত সিঙ্গেল সেট প্রোগ্রাম করা নির্দেশাবলী মেনে চলে। সুতরাং আমরা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিতে পারি, গতকাল যে কমপিউটারটি স্বাভাবিক নিয়মে যে কাজগুলো সম্পাদন করতে পেরেছিল কোনো বাধাবিপত্তি ছাড়াই, আজও সেই কাজগুলো কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া এই কমপিউটার স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। যদি এই কমপিউটার স্বাভাবিকভাবে সেসব কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি ইতোমধ্যে ওই কমপিউটারে কোনো পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে বলেই কমপিউটার এমন আচরণ করছে।

এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই আমাদেরকে প্রথমেই দেখতে হবে, কমপিউটারে সর্বশেষ কাজ করার পর সিস্টেমে বা প্রোগ্রামে কোনো ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছিল কি না? কমপিউটারে নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা পেরিফেরাল ডিভাইস ইনস্টল করেছিলেন কি না? কিংবা কমপিউটারে নতুন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছেন কি না? যদি এ ধরনের কোনো কাজ করে থাকেন, তাহলে খুব সঙ্গত কারণে ধরে নিতে পারেন, সমস্যা সৃষ্টির জন্য এটিই মূলত দায়ী। সুতরাং যে পরিবর্তন আনার জন্য এ সমস্যাটি হয়েছিল, তা আনডু করে দেখুন সমস্যাযুক্ত ডিভাইস বা প্রোগ্রামটি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কি না?

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ধারাবাহিক সমস্যা

আপনার সিস্টেমে কোনো পরিবর্তন আনার ফলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন, যদি সে সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরবর্তী ধাপ বা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনায় আনতে হবে, আপনার সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস ও প্রোগ্রাম, যা এই উদ্ভূত সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। এ বিষয়টিকে সহজবোধ্য করার জন্য উদাহরণ টেনে বলা যেতে পারে, মেকানিক্যাল ডিভাইস আস্থার সাথে নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে আন্তেসংযোগের ওপর এবং এসব উপাদানের মধ্যে যদি কোনো একটি ডিভাইস পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে পুরো সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে। অনুরূপভাবে বলা যেতে পারে, কমপিউটার প্রোগ্রাম এবং নেটওয়ার্ক সিস্টেম অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, যদি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে কোনো একটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কখনো কখনো কোনো কোনো সমস্যা শনাক্ত করা বেশ সহজ। উদাহরণ হিসেবে প্রিন্টার প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। একটি প্রিন্টার চমৎকারভাবে কাজ করছে, যা ইউএসবি হাবের মাধ্যমে কমপিউটারের সাথে যুক্ত। কিন্তু, বর্তমানে এটি কাজ করছে না। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রথমে চেক করা উচিত, যে হাবের মাধ্যমে প্রিন্টারটি সাথে যুক্ত ছিল তা ঠিক আছে কি না। এরপর দেখা উচিত, কমপিউটার এবং হাবের মধ্যে সংযোগ ঠিক আছে কি না? কোনো কোনো সিস্টেম অবশ্য একটু জটিল প্রকৃতির। ধরা যাক, আপনার সিস্টেমটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এবং এটি বর্তমানে কাজ করছে না। এক্ষেত্রে সমস্যা নিরূপণের জন্য প্রথমে চেক করা দরকার কমপিউটারের প্রান্তে এবং এরপর রাউটারের প্রান্তে অথবা উভয় প্রান্তে।

যদি নেটওয়ার্কিং ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তবে সেক্ষেত্রে গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে, চেইন প্রোডাক্টের লিঙ্ককে অর্থাৎ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পণ্য সামগ্রীকে কখনো কখনো অবশ্যই যথাযথ নিয়মে সংযক্ত থাকতে হবে। বিশেষ করে বেশিরভাগ হোম নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক ডিভাইস একটি সিঙ্গেল রাউটারের সাথে সংযুক্ত। সাধারণত প্রতিটি ডিভাইসকে রিস্টার্ট করলে সাধারণ সমস্যাগুলো ফিক্সড হয়ে যায় সচরাচর। তবে যেহেতু অন্যান্য ডিভাইস সব রাউটারের ওপর নির্ভরশীল তাদেরকে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস দেয়ার জন্য। সুতরাং সাধারণ সমস্যা ফিক্স করার জন্য প্রথমে রিস্টার্ট করাটা জরুরি।

যদি সাধারণ রিস্টার্টের মাধ্যমে কাজ না হয় কিংবা নেটওয়ার্ক চেইনের অর্থাৎ নেটওয়ার্কের অন্তের্গত প্রতিটি ডিভাইসকে পুনঃসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া না যায়, তাহলে ইলিমিনেশন প্রসেস প্রয়োগ করে দেখুন। যদি সমস্যাটি হয় ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রিন্টারের, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে চেক করে দেখতে হবে, অন্যান্য ডিভাইস যথাযথভাবে কানেক্টেড কি না। যদি সেখানে কোনো সমস্যা না থাকে অর্থাৎ সংযুক্ত ডিভাইসগুলো যথাযথভাবে সংযুক্ত থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন, এ সমস্যাটি মূলত হতে পারে প্রিন্টার সেটিংসংশ্লিষ্ট।

সফটওয়্যারসংশ্লিষ্ট সমস্যা ও সমাধান

হার্ডওয়্যার ডিভাইস যেভাবে খুব সহজে পরস্পরের সাথে যুক্ত অর্থাৎ ইন্টারকানেক্টেড হয়ে কাজ করতে পারে, সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তত সহজ পরিলক্ষিত হয় না। অর্থাৎ হার্ডওয়্যারের মতো সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও সমস্যার কারণ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ধারাবাহিক বা চেইন অংশ একই রকম হলেও নিরূপণ করা সহজ নয় বরং বেশ জটিল। একটি সফটওয়্যার যেভাবে কাজ করে, তা একটু খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, পুরো প্রসেসে কোনো কিছুই আলাদাভাবে রান করে না।

বেশিরভাগ প্রোগ্রাম সুস্পষ্টভাবে কোনো না কোনোভাবে উইন্ডোজের ওপর নির্ভরশীল, যদি আপনি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হন। সুতরাং অপারেটিং সিস্টেমের কোনো ত্রুটি হয়ত আপনার সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি আপনার ব্যবহৃত বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম তার কার্যকারিতার জন্য বিশেষ কোনো পেরিফেরাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন সেই ডিভাইসের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যদি পেরিফেরাল ডিভাইসটি স্ক্যানার হয়ে থাকে এবং স্ক্যানিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করলে চেক করে দেখুন অপটিক্যাল ড্রাইভ উইন্ডোজে কাজ করে কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হার্ডওয়্যার ডিভাইস যথাযথভাবে রান করানোর জন্য ড্রাইভার সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার কাজ করে। যদি ড্রাইভার সফটওয়্যারটি যথাযথভাবে কাজ না করে, তাহলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি নিজেই প্রোগ্রামকে কাজ করতে বাধা দেয়।

হার্ডওয়্যারের সমস্যার সাথে সাথে সফটওয়্যারের কোন কোন অংশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা স্বতন্ত্রভাবে চেক করে দেখা উচিত। যদি প্রোগ্রাম শব্দ সৃষ্টি করে, তাহলে বুঝতে হবে এ শব্দ উইন্ডোজ সাউন্ড ড্রাইভারের সৃষ্টি। সুতরাং সাউন্ডসহ আরেকটি প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখুন ঠিকমতো কাজ করছে কি না। যদি এটি ইন্টারনেট এক্সেসের ওপর নির্ভরশীল হয়, তাহলে ওয়েব ব্রাউজারকে চেক করে দেখুন যদি তা ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকে। যদি পরীক্ষায় সমস্যা নিরূপণে ব্যর্থ হন, তাহলে ধরে নিতে পারেন অন্য কোনো প্রোগ্রাম এ সমস্যার জন্য দায়ী। সুতরাং অন্য সব প্রোগ্রাম বন্ধ করে ভাইরাস চেক করে দেখুন।

মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং র্যাোমের সমস্যা নিরূপণের ফ্লোচার্ট

কমপিউটারে উদ্ভূত সমস্যাগুলো যেমনি ইন্টারনেট, ভাইরাস, ওএস বা বিভিন্ন প্রোগ্রাম সংশি¬ষ্ট হয়ে থাকে, তেমনি কম বেশি হয়ে থাকে মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং র্যািমের কারণেও। মাদারবোর্ড, সিপিইউ ও র্যাভমের কারণে উদ্ভূত সমস্যাগুলো মূলত হার্ডওয়্যারসংশি¬ষ্ট এবং অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য হার্ডওয়্যার পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য যেসব বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে হবে, তা নিচে ফ্লোচার্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে সহজবোধ্য করে :

প্রথমে লক্ষ করুন, স্ক্রিন সক্রিয় কি না? ‘No Video Signal’ এ ধরনের কোনো মেসেজ স্ক্রিনে আবির্ভূত হচ্ছে কি না? অথবা এ ধরনের কোনো মেসেজ স্ক্রিনে সক্রিয়ভাবে আবির্ভূত হচ্ছে কি না খেয়াল করুন। সমস্যার কারণ নিরূপণের জন্য ন্যূনতম দরকার বায়োস স্ক্রিন।

প্রথমে সিস্টেমের পাওয়ার অন করে দেখুন তা অন হচ্ছে কী? কোনো বীপ শোনা যায় কী? হার্ডড্রাইভ ফ্যান ইত্যাদি রান করছে কি না, খেয়াল করুন। যদি পাওয়ার না আসে, তা হলে বুঝতে হবে যে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ক্রটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে ফ্লোচার্ট অনুসরণ করে কমপিউটারের গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট যেমন সিপিইউ, র্যা ম, মাদারবোর্ড সমস্যার কারণ নিরূপণ করে সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিন।

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

//

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৫)

মাহমুদ

আজকের পর্ব : নেটওয়ার্কিং ডিভাইস পরিচিতি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করার জন্য কম্পিউটার এবং ক্যাবল ছাড়াও আরও বেশ কিছু ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক তৈরী করার জন্য কোন ডিভাইসের কি কাজ, কোন ক্ষেত্রে কোন ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে এবং ডিভাইসগুলোর মধ্যে পার্থক্য জানা প্রয়োজন। এ কারনে আমি অল্প কথায় সহজ ভাষায় নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলোর পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

প্রথমে OSI Layer সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়া প্রয়োজন, কারন এই লেয়ারগুলোর উপর ভিত্তি করেই নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলো কাজ করে।

উপরের চিত্রে OSI Layer এর মডেল দেয়া আছে, যা ৭ টি স্তরে বিভক্ত। কোনো প্রেরক (Sender) ডিভাইস (যেমন: কম্পিউটার) থেকে ডাটা প্রবাহিত হওয়ার সময়, প্রেরক ডিভাইসের ডাটা উপরের লেয়ার থেকে নিচের লেয়ারের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। প্রতিটি লেয়ারে সেই ডাটাকে নিয়ে কিছু কাজ হয়, তারপর পরবর্তী লেয়ারে পঠিয়ে দেয়। এভাবে কোন ইউজার যখন কোন ডাটা পাঠায় তখন সেটি প্রথমে আসে এপ্লিকেশন লেয়ারে, এরপর প্রেজেন্টেশন, সেশন …. এভাবে চলতে চলতে ফিজিক্যাল লেয়ার পর্যন্ত। ফিজিক্যাল লেয়ারে এসে ডাটা পুরোপুরি মেশিন কোডে রুপান্তরিত হয়, যা ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হয়। গন্তব্যে পৌছে প্রাপক (Receiver) ডিভাইসটি ফিজিক্যাল লেয়ারে ডাটাটি গ্রহন করে উপরের দিকের লেয়ারে পাঠাতে থাকে এবং এপ্লিকেশন লেয়ারে পৌছানোর পর আমরা সেই ডাটাটি দেখতে পারি। এটাই মূলত OSI Layer এর কাজ। এখানে মনে রাখতে হবে, নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলো শুধুমাত্র ফিজিক্যাল, ডাটা লিংক এবং নেটওয়ার্ক এই ৩ টি লেয়ারে কাজ করতে পারে।

NIC Card বা ল্যান কার্ড : NIC Card বা ল্যান কার্ডের সাথে আমরা সবাই পরিচিত, এটি কম্পিউটারের সাথে লাগানো থাকে এবং প্রতিটি ল্যান কার্ড দিয়ে একটি মাত্র কানেকশন লাগানো যায়। একাধিক কানেকশন ব্যবহারের প্রয়োজন হলে একই কম্পিউটারে একাধিক ল্যান কার্ডও চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি ল্যান কার্ডে একটি নির্দিষ্ট ফিজিক্যাল এড্রেস থাকে যাকে ম্যাক এড্রেস (MAC Address) বলা হয়। এই ম্যাক এড্রেস প্রতিটি ল্যান কার্ডের জন্য তৈরী করার সময়ই নিদিষ্ট করে দেয়া থাকে, যা পরিবর্তন করা যায় না। এই ম্যাক এড্রেস ব্যবহার করা হয় OSI Layer এর ফিজিক্যাল লেয়ারে। রাউটিং এর জন্য এই ম্যাক এড্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া ল্যান কার্ডে একটি লজিক্যাল এড্রেস বা আইপি এড্রেস বসাতে হয় যা নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে।

হাব (Hub) : হাব একটি নেটওয়ার্ক ইন্টারকানেক্টিং ডিভাইস, যা ব্যবহার করে স্টার টপোলজি তৈরী করা যায়। হাব OSI Layer লেয়ারের শুধুমাত্র ফিজিক্যাল লেয়ারে কাজ করে।

হাব দামে সস্তা এবং সহজে ব্যবহার করা যায় তাই অনেকেই ছোট নেটওয়ার্কের জন্য হাব ব্যবহার করেন। কিন্তু সুবিধার পাশাপশি হাব ব্যবহারের বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন : হাবের কোন নিজস্ব রাউটিং টেবিল নেই, যার কারনে সে তার সাথে সরাসরি যুক্ত নেটওয়ার্ক বা ডিভাইস চিনতে পারে না। তাই হাব যখন কোন ডাটা পায় তখন সে তার সাথে পোর্টে যুক্ত সবগুলো ডিভাইসকে সেই একই ডাটা কপি করে পাঠিয়ে দেয়। এরপর প্রাপক কম্পিউটারটি ছাড়া বাকি কম্পিউটারগুলো ডাটাটি পরীক্ষা করে যখন দেখে যে, এটি তার জন্য পাঠানো হয়নি তখন ডাটাটি ডিলিট করে দেয়। এভাবেই হাব যত ডাটা পায় তা তার সাথে পোর্টে যুক্ত সবাইকে পঠিয়ে দেয়, যা ডাটার সিকিউরিটি এবং মূল্যবান ব্যান্ডউইথ নষ্ট করে। বড় নেটওয়ার্কের মাঝে একটি হাব পুরো নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। একারনে বর্তমানে হাবের ব্যবহার কিছুটা কমে এসেছে এবং এর বদলে কম দামের এক ধরনের সুইচের ব্যবহার বেড়েছে। এই সব সুইচের দাম ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে এবং হাবের চাইতে কিছুটা ভাল কাজ করে। তাই যারা ছোট নেটওয়ার্ক তৈরী করবেন তাদের জন্য এই সুইচ কেনাই সবচেয়ে ভাল হবে, ডি-লিংক এবং আসুস ব্রান্ডর সুইচগুলো বেশ ভাল কাজ করে দেখেছি।

সুইচ (Switch): সুইচ এবং হাব একই কাজ করলেও, সুইচ হাবের চাইতে উন্নত। সুইচ আর হাবের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সুইচের নিজস্ব রাউটিং টেবিল আছে। এই টেবিলে সে তার সাথে যুক্ত সকল নেটওয়ার্ক এবং নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলোর ডাটা সংরক্ষন করে রাখে।

সুইচ যেহেতু ফিজিক্যাল এবং ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে তাই তার সাথে যুক্ত কম্পিউটারের ডাটা হিসেবে সে ল্যান কার্ডের MAC Address ব্যবহার করে। যখন একটি ডাটা সুইচের কাছে আসে সে তখন সেই ডাটাটির প্রাপক কম্পিউটারের MAC Address তার রাউটিং টেবিলের সাথে মিলিয়ে দেখে। মিলে গেলে প্রাপক কম্পিউটারটি সুইচের যে পোর্টের সাথে যুক্ত সেই পোর্ট দিয়ে ডাটাটি পাঠিয়ে দেয়। যার ফলে যেকোন ডাটা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রাপক কম্পিউটারের কাছেই পৌছায়। সাধারন মানের সুইচ সবসময় একটি নেটওয়ার্ক নিয়েই কাজ করতে পারে। তবে ম্যানেজেবল সুইচকে VLAN (Virtual LAN) করে ভাগ করে একাধিক নেটওয়ার্কে কাজ করানো যায়। ম্যানেজেবল সুইচের দাম সাধারন সুইচের চাইতে অনেক বেশি, যেমন Cisco কোম্পানীর একটি ৮ পোর্টের ম্যানেজেবল সুইচের দাম ১৫ হাজার টাকার মত। তাই এগুলো শুধুমাত্র বড় এবং গুরুত্বপূর্ন নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কিছু উন্নত প্রযুক্তির ৩ লেয়ারের সুইচ রয়েছে, যা নেটওয়ার্ক লেয়ার পর্যন্ত সরাসরি IP Address নিয়ে কাজ করতে পারে।

রাউটার (Router): রাউটার একটি ৩ লেয়ার ডিভাইস, অর্থাৎ এটি OSI Layer এর ফিজিক্যাল, ডাটালিংক এবং নেটওয়ার্ক লেয়ার নিয়ে কাজ করতে পারে। একারনে রাউটার নেটওয়ার্ক লেয়ারে IP Address নিয়ে কাজ করতে পারে।

রাউটার সাধারনত অনেকগুলো LAN (Local Area Network) কে যুক্ত করে WAN (Wide Area Network) তৈরী করতে সাহায্য করে। রাউটার Wired এবং Wireless এই দুই ধরনের হয়। ছবিতে একটি Wireless Router দেখানো হয়েছে। রাউটারের রাউটিং টেবিলে MAC Address এর বদলে থাকে IP Address এবং তার সাথে যুক্ত নেটওয়ার্কগুলোর সম্পর্কে সমস্ত রেকর্ড তার কাছে থাকে, যা দেখে সে সহজেই একটি ডাটা কোন পথ দিয়ে বা কোন পোর্ট দিয়ে যাবে তা নির্দেশ করতে পারে। শুধু তার সাথে সরাসরি যুক্ত নেটওয়ার্কগুলোই নয়, বরং দূরের কোন নেটওয়ার্কে ডাটা পৌছানোর জন্য কোন পথ দিয়ে ডাটাটি পাঠাতে হবে তাও রাউটার ঠিক করে দেয়। প্রতিটি রাউটার কিছু সেকেন্ড পর পর নিজেকে আপডেট করে নেয় এবং তার পার্শ্ববর্তী রাউটারগুলোকে সেই আপডেট মেসেজ পাঠায়, যা দেখে অন্য রাউটারগুলোও নিজেদের আপডেট করে নেয়। যেমন ধরুন একটি নেটওয়ার্ক বা ল্যান কোন কারনে রাউটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সেক্ষেত্রে রাউটারটি প্রথমে তার নিজের রাউটিং টেবিলটিকে আপডেট করে নেবে এবং তার পার্শ্ববর্তী রাউটারগুলোকে মেসেজ সেন্ড করে জানিয়ে দেবে যে এই ল্যানটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ পুরো পক্রিয়াটি চালু রাখার জন্য বেশকিছু রাউটিং প্রোটোকল (Routing Protocol) রয়েছে যেমন : RIPv2, EIGRP, OSPF ইত্যাদি। প্রোটোকল হচ্ছে কিছু নিয়মের সমন্বয় যা ওই প্রোটোকলের আওতাধীন রাউটারগুলোকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন রাউটার একটি অত্যান্ত বুদ্ধিমান এবং উন্নতমানের ডিভাইস, এ কারনে এর দামটাও কিঞ্চিত বেশি।

সার্ভার (Server) : সার্ভার হচ্ছে একটি তথ্য ভান্ডার যেখানে তথ্য জমা থাকে এবং যখন কোন ক্লায়েন্ট তথ্য চায় তখন সাথে সাথে তাকে সেই তথ্য বা ডাটা সরবরাহ করা সার্ভারের কাজ। বর্তমানে অনেক ধরনের সার্ভার রয়েছে যেমন : ফাইল সার্ভার, ইমেইল সার্ভার, ডাটাবেজ সার্ভার, প্রক্সি সার্ভার, প্রিন্ট সার্ভার, ওয়েব সার্ভার ইত্যাদি।

নেটওয়ার্কের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে সার্ভারের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। প্রতিটি সার্ভার একটি নিদিষ্ট বিশেষ ধরনের কাজের জন্য। যেমন : ফাইল সার্ভারের কাজ হলো নেটওয়ার্ক ইউজারদের জন্য বিভিন্ন ফাইল শেয়ার করা যাতে ইউজাররা সহজে যেকোন সময় তাদের প্রয়োজনীয় ফাইলে প্রবেশ করতে পারে। ফাইল সার্ভারে চলে এমন এক নেটওয়ার্ক সার্ভিস যার মাধ্যমে কোন সার্ভার ডাটা স্টোর করা যায়, সেই ডাটা পড়া যায় এবং প্রয়োজনে অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। যেকোন সার্ভারের দুটি গুরুত্বপূর্ন অংশ স্টোরেজ মেমোরী এবং RAM। এ দুটো অংশ কতটা শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করে এটি কি ধরনের কাজ করবে এবং কতজন ক্লায়েন্ট এটি ব্যবহার করবে তার উপর।

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ২:২৩ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৪)

মাহমুদ

আজকের পর্ব সাবনেটিং

আমার আগের কয়েকটি লেখায় বলেছিলাম কিভাবে ছোট আকারের নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হয়। এবার আমি আলোচনা করব বড় আকারের নেটওয়ার্ক নিয়ে। বড় আকারের নেটওয়ার্ক তৈরীর সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি করে IP Address বরাদ্দ করা। কারন IPv4 এ IP Address এর সংখ্যা সীমিত। প্রথম যখন ইন্টারনেট আবিস্কার হয় তখন কেউ কল্পনা করতে পারেনি যে এটি এতটা জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হবে, তখন ইন্টারনেট শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ধরনের গবেষনার কাজে ব্যবহার করা হত। তাই ৩২ বিটের IPv4 Address কেই তারা ভেবেছিল যথেষ্ট। কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট বিস্তৃত হওয়ায় IP Address সংকট দেখা দিয়েছে। তাই এই অল্প সংখ্যক IP Address নিয়েই আমাদের নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হবে। এ কারনেই আমাদের সাবনেটিং এর প্রয়োজন হচ্ছে।

প্রথমে আমারা জানি যে, IPv4 Address কে ৪ টি ক্লাসে ভাগ করা হয়েছে, যা হলো :

CLASS A শুরু 0.0.0.0 থেকে 127.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.0.0.0
CLASS B শুরু 128.0.0.0 থেকে 191.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.0.0
CLASS C শুরু 192.0.0.0 থেকে 223.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0
CLASS D শুরু 224.0.0.0 থেকে 239.0.0.0 পর্যন্ত [মাল্টিকাস্টের জন্য সংরক্ষিত]
CLASS E শুরু 240.0.0.0 থেকে 255.0.0.0 পর্যন্ত [রিসার্চের জন্য সংরক্ষিত]

এর মধ্যে Class A এড্রেস শেষ হয়ে গেছে এবং Class B এড্রেস প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে, ইন্টারনিকের কাছে আবেদন করে সেই আবেদনের যথার্থতা প্রমান করতে পারলেই কেবল এই ক্লাসের IP পাওয়া যায়।

এর মধ্যে কিছু এড্রেস রাখা হয়েছে Private IP Address হিসেবে সেগুলো হচ্ছে :

CLASS A শুরু 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত
CLASS B শুরু 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত
CLASS C শুরু 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত

বড় একটি নেটওয়ার্কের জন্য যদি আপনি প্রতিটি পিসির জন্য আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস কিনতে চান তাহলে আপনার নেটওয়ার্কটি হবে অনেক ব্যায়বহুল এবং ইন্টারনিক আপনাকে এতগুলো আইপি দেবেও না। তাই বড় নেটওয়ার্ককে যদি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে চান তাহলে প্রথমে বড় নেটওয়ার্কটিকে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেটে) ভাগ করুন এবং IP Address হিসেবে Private IP Address Range ব্যবহার করুন। কারন Private IP Address ফ্রি এবং Private Address দিয়ে আপনি হাজার হাজার কম্পিউটারে আইপি এড্রেস বসাতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে Router ব্যবহার করতে হবে। কারন প্রাইভেট আইপি দিয়ে সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যায় না, রাউটার ব্যবহার করলেই প্রাইভেট আইপির সব কম্পিউটার রাউটারের গেইটওয়ে এড্রেস ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

এখন ছোট ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে রাউটারের সাথে যুক্ত করলেই একটি বড় নেটওয়ার্ক দাড়িয়ে গেল। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য রাউটারের আউটগোয়িং পোর্টে ইন্টারনিক থেকে কেনা Public IP Address বসিয়ে দিন। তাতে আপনার নেটওয়ার্কের জন্য এতগুলো Public IP কিনতে হচ্ছে না, জাস্ট একটি Public IP হলেই চলছে এবং নেটওয়ার্কের সিকিউরিটিও বাড়বে। কারন Public IP Address দিয়ে বাইরের কেউ Private Network এ ঢুকতে পারে না।

ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেট) ভাগ করা ছাড়া যেকোন হোস্ট এড্রেস হয় নিম্নরুপ :

নেটওয়ার্ক আইডি + হোস্ট আইডি

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে ইন্টারনিক আমাদেরকে যে নেটওয়ার্ক আইডি দিচ্ছে সেটিকে আমরা পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্তু আমরা যেসব ছোট নেটওয়ার্ক (সাবনেট) তৈরী করব সেগুলোকে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা দরকার। তাই আমরা নেটওয়ার্কের বিটগুলোকে অপরিবর্তিত রেখে হোস্ট আইডির কিছু বিটকে ব্যবহার করতে হবে। সাবনেট যুক্ত যেকোন নেটওয়ার্কের আইপি এড্রেস হবে নিম্নরুপ :

নেটওয়ার্ক আইডি + সাবনেট আইডি + হোস্ট আইডি

এখানে হোস্ট আইডিকে ভেঙ্গে কিছু বিট সাবনেট আইডি হিসেবে নেয়া হয়েছে। কিন্তু নেটওয়ার্ক আইডি অপরিবর্তিত রয়েছে।

সাব-নেটওয়ার্ক এড্রেস বের করার একটি পদ্ধতি হচ্ছে Binary ANDing। ANDing করার নিয়ম হচ্ছে :

1 AND 1 = 1
1 AND 0 = 0
0 AND 1 = 0
0 AND 0 = 0

একটি আইপি এড্রেস কোন সাবনেটের অন্তর্ভুক্ত তা বের করার জন্য Binary ANDing ব্যবহার করা হয়। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন :

উপরের ছবিতে IP Address দেয়া হয়েছে 192.100.10.33 এবং সাবনেট মাস্ক দেয়া হয়েছে 255.255.255.0 এরপর আইপি এড্রেস আর সাবনেট মাস্ককে বাইনারি নম্বরে পরিবর্তন করে ANDing করতেই রেজাল্টে সাব-নেটওয়ার্ক এড্রেস 192.100.10.0 বের হয়ে এসেছে। এই ফর্মুলা ব্যবহার করে যে কোন আইপি কোন সাবনেট বা নেটের অন্তর্ভূক্ত তা বের করা সম্ভব।

এবারে আসুন দেখা যাক কিভাবে একটি বড় নেটওয়ার্কের জন্য IP Address সরবরাহ করবেন। প্রথমে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজুন।

১। আপনি কতগুলো কম্পিউটারের জন্য IP Address খুজছেন?
২। আপনার বড় নেটওয়ার্কটিকে কতগুলো ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেট) ভাগ করতে চান?
৩। আপনার নেটওয়ার্কে কি ইন্টারনেট থাকবে নাকি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীন কাজে ব্যবহার হবে?

উত্তরগুলো জেনে নিন। এখানে একটি বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে ভাগ করে নেয়া সুবিধাজনক, কারন ধরুন আপনি একটি বিল্ডিং এর সবগুলো তলা নিয়ে বড় নেটওয়ার্ক তৈরী করছেন। এখানে যদি প্রতিটি তলা ছোট ছোট নেটওয়ার্কে ভাগ করা থাকে তবে তা আপনার জন্য সেটাপ+মেইনটেইন করা সুবিধাজনক।

ধরুন, আপনি 180 টি কম্পিউটার নিয়ে বড় একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করতে চান। যেখানে সাবনেট থাকবে 6 টি এবং প্রতিটি সাবনেটে হোস্ট কম্পিউটার থাকবে কমপক্ষে 30 টি। IP Address দেয়া হলো 192.168.16.0 এবং সাবনেট 255.255.255.0। কিভাবে করবেন?

কাগজ কলম নিয়ে হাতে সাবনেট ক্যালকুলেশন করার প্রকিয়া কিছুটা জটিল এবং নতুনদের জন্য সমস্যার। তাই আমি আপনাদের সাবনেট ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সাবনেট হিসাব করার জন্য বলছি। এখান থেকে Subnet Calculator Software টি ডাউনলোড করে নিন। ইন্সটল করুন এবং রান করান, নিচের উইন্ডোটি আসবে।

এখানে IP বক্সে 192.168.16.0 লিখুন। এবার Max Subnets এ 6 দিন এবং Max hosts এ 30 বসান।

এবার সার্চ বাটনটিতে ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি পাবেন।

এখানে 6 টি নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক এড্রেস, ওই সাবনেটের রেঞ্জ এবং ব্রডকাস্ট এড্রেস দেয়া আছে। এখান থেকে টুকে নিয়ে কম্পিউটারে এড্রেসগুলো বসিয়ে দিলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে, নেটওয়ার্ক এড্রেস অর্থাৎ প্রথম আইপি এড্রেসটি এবং ব্রডকাস্ট এড্রেস অর্থাৎ শেষের আইপি এড্রেসটি আপনি কোন কম্পিউটারে ব্যবহার করতে পারবেন না। মাঝের সাবনেট রেঞ্জ এ যে এড্রেসগুলো দেয়া আছে ওগুলোই শুধু ব্যবহার করা যাবে।

এভাবে যেকোন আইপির জন্য সাবনেট তৈরী করা সম্ভব।

হাতে-কলমে সাবনেটিং শিখতে চাইলে, একটি বই আছে যা পড়ে দেখতে পারেন। ডাউনলোড লিংক : Click This Link

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১:১৫ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৩)

মাহমুদ

আমি আগে ২টি পর্বে আপনাদেরকে দেখিয়েছি কিভাবে নেটওয়ার্কিং করার জন্য হার্ডওয়্যার প্রস্তুত করতে হয় এবং IP Addressing এর নিয়মাবলী। এবার দেখাবো নেটওয়ার্কের জন্য ওয়ার্কগ্রুপ তৈরী করার নিয়ম এবং সার্ভার কম্পিউটারটির ইন্টারনেট শেয়ারিং, যাতে অন্য কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ফাইল শেয়ারিং করতে পারে। সার্ভার (Server) শব্দটি শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এই সার্ভার আর ওয়েব সার্ভার এক জিনিষ নয়। এখানে সার্ভার হচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট গেইটওয়ে সার্ভার যা যেকোন সাধারন কম্পিউটার হতে পারে।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট যুক্ত নেটওয়ার্কে যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সেই কম্পিউটারটিকে Server হিসেবে ব্যবহার করব এবং বাকি সকল কম্পিউটারকে Client হিসেবে ব্যবহার করব। সকল কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সার্ভার কম্পিউটারটি সব সময় চালু রাখতে হবে। সার্ভার কম্পিউটারটি বন্ধ করলে নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না, তবে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং/ফাইল শেয়ারিং চালু থাকবে। যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে নেটওয়ার্কে সার্ভারের কোন প্রয়োজন নেই, তখন সব পিসিই হবে ক্লায়েন্ট।

Control Panel > Network Connections এ গিয়ে সাইড ম্যানু থেকে Setup a home or small office network লিংকে ক্লিক করুন।

Network Setup Wizard উইন্ডোটি ওপেন হবে।

Network Setup Wizard এ Next বাটন প্রেস করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে।

এখানে Select a connection method অংশে আপনি কি ধরনের Connection Setup করতে চান তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। যেমন : আপনার এই কম্পিউটারটি যদি সার্ভার (Server) করতে চান তবে প্রথম অপশনটি (This Computer connects directly to the internet…..) সিলেক্ট করুন, আর ক্লায়েন্ট (Client) করতে চাইলে দ্বিতীয় অপশনটি (This computer connects to the internet through a residential gateway…..) সিলেক্ট করুন। এরপর Next দিন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :

এটি শুধু সার্ভার সেটাপের সময় আসবে ক্লায়েন্ট সেটাপে আসবে না। সার্ভার হিসেবে আমরা যে কম্পিউটারটি নিয়েছি তার ইন্টারনেট কানেকশনটি এখানে দেখিয়ে দিতে হবে। যেমন : আমি Nokia EDGE Modem দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করি বলে Nokia Bluetooth Modem সিলেক্ট করেছি। আবার Next ক্লিক করুন, নিচের উইন্ডো আসবে :

এখানে আপনি আপনার কম্পিউটারের জন্য একটি নাম দিয়ে দিতে পারেন। কম্পিউটারের নাম দিয়ে Next দিন।

এখানে Workgroup Name অংশে Workgroup এর জন্য একটি নাম দিন, প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদা নাম দেয়া ভালো। তাতে করে পরে My Network Places এ গিয়ে ঔ কম্পিউটারটি খুজে বের করতে সুবিধে হবে। Next ক্লিক করুন।

এখানে আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারগুলোর সাথে ফাইল এবং প্রিন্টার শেয়ার করতে চান কিনা। যদি চান তবে Turn On File & Printer Sharing সিলেক্ট করুন অথবা Turn off করে রাখুন। এরপর Next দিতে থাকুন এবং শেষে Finish দিয়ে বের হয়ে আসুন।

ব্যাস্….. এ পর্যন্ত এসে Workgroup তৈরী এবং ইন্টারনেট শেয়ারিং শেষ।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখবেন, অনেক সময় Windows Firewall অন থাকলে আপনাকে নেটওয়ার্কের ফাইল শেয়ারিং করতে দেবে না। উইন্ডোজের এই ফায়ারওয়াল জঘন্য, এটি চোখ বন্ধ করে নেটওয়ার্কের সব শেয়ারিং বন্ধ করে দেয়। ফায়ারওয়াল ব্যবহার করতে চাইলে আলাদাভাবে ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

এখন নেটওয়ার্কে যদি Printer যুক্ত থাকে এবং সেই প্রিন্টারটি যদি নেটওয়ার্কে যুক্ত সব কম্পিউটার ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেই প্রিন্টারটিকে শেয়ার করে দিতে হবে। বাজারে এখন আধুনিক IP Address যুক্ত প্রিন্টার পাওয়া যায়। এই প্রিন্টারগুলোকে IP Address দিয়ে দিলেই নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটার প্রিন্টারটিকে প্রিন্ট কমান্ড দিতে পারে। শেয়ারিং করার দরকার হয় না।
তবে সাধারন লেজার, বাবল জেট বা ডটমেট্রিক্স প্রিন্টারগুলোতে IP Address সেট করা যায় না তাই এগুলোকে শেয়ারিং করতে হয় সরাসরি যুক্ত কম্পিউটারটির সাহায্যে। যেমন : আপনার লেজার কম্পিউটারটি যে কম্পিউটারটির সাথে সরাসরি যুক্ত সেই কম্পিউটারটির Control Panel > Printers & Faxes এ গিয়ে আপনি যে প্রিন্টারটি শেয়ার করবেন সেই প্রিন্টারটি সিলেক্ট করুন।

এবার সাইড ম্যানু থেকে থেকে Share this printer ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :

এখানে Share Name এ প্রিন্টারটির নাম দিন। Apply দিয়ে বের হয়ে আসুন। এতেই প্রিন্টারটি নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের জন্য শেয়ার হয়ে যাবে। এখন অন্যান্য কম্পিউটারগুলোতে Control Panel > Printers & Faxes এ গিয়ে Add a Printer এ ক্লিক করুন। Next দিয়ে নিচের উইন্ডোটি পাবেন :

এখান থেকে A network printer, or a printer attached to another computer সিলেক্ট করে Next দিন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :

এখানে Browse for a printer সিলেক্ট করে Next দিন এবং ব্রাউজ করে আপনার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রিন্টারটি দেখিয়ে দিন। ব্যাস… এতেই আপনি ওই প্রিন্টারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ফাইল শেয়ারিং করার জন্য যেকোন ফোল্ডার, ড্রাইভার বা সিডি/ডিভিডি রম (যেটি আপনি শেয়ার করতে চান) সিলেক্ট করে Mouse Right Button ক্লিক করে Properties এ যান। নিচের উইন্ডোটি আসবে :

এখানে Share this folder on the network এ টিক দিন এবং ফোল্ডারটির নাম দিন। এতে এই ফোল্ডারটি নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের জন্য Read Only হিসেবে দেখাবে অর্থাৎ নেটওয়ার্কের সবাই ফোল্ডারটি দেখতে পারবে, Copy করতে পারবে কিন্তু Delete, Cut বা Edit করতে পারবে না। যদি আপনি অন্য কম্পিউটারগুলোকেও ফোল্ডারটি Delete, Cut, Edit করার পারমিশন দিতে চান তাহলে Allow Network users to change my files এ টিক দিয়ে দিন। ব্যাস… ফাইল/ফোল্ডার শেয়ারিং শেষ।

এবার দেখাবো কিভাবে শেয়ারিং ফোল্ডার নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটার থেকে খুজে বের করবেন। Start Menu থেকে My Network Places এ ক্লিক করুন।

এরপর সাইড ম্যানু থেকে View Workgroup Computers এ ক্লিক করুন। Up দিয়ে Microsoft Windows Network এ যান। সেখানে আপনার নেটওয়ার্কে যুক্ত সব কম্পিউটারগুলোর ওয়ার্কগ্রুপ দেখাবে, ওয়ার্কগ্রুপগুলোর নাম হবে আপনি ওয়ার্কগ্রুপ সেটআপের সময় যে নাম দিয়েছেন সেই নামটি। এবার যেকোন ওয়ার্কগ্রুপে ঢুকলে ওই কম্পিউটারের সব শেয়ারিং ফাইল/ফোল্ডার দেখতে পাবেন।

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১:১০ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ২)

মাহমুদ

প্রথম পর্বে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম কিভাবে ল্যান নেটওয়ার্কিং এর জন্য ক্যাবল এবং স্টার টপোলজি প্রস্তুত করতে হয় অর্থাৎ আমরা হার্ডওয়্যার অংশ প্রস্তুত করা শিখেছি, এবার ইন্সটলেশনের পালা। UTP ক্যাবলগুলো পিসিগুলোতে কানেক্ট করে কম্পিউটারগুলো চালু করুন। এখন ইন্সটলেশনের প্রথম ধাপে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি করে IP Address দিতে হবে। আমরা সাধারনত IP Address হিসেবে IPv4 ব্যবহার করি এটি ৩২ বিটের একটি বাইনারি (Binary) নম্বর। প্রতিটি ওয়ার্কগ্রুপের (Workgroup) সকল কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদ IP Address দিতে হবে। একই এড্রেসের দুটি কম্পিউটার একই নেটওয়ার্কে কখনও থাকতে পারবে না।

আসুন এবার IP Address নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি। ৩২ বিটের IP Address এর উদাহরন নিচে দিলাম :

11000000.10101000.00000000.00000001 (বাইনারি ফরমেট)

তবে আমাদের সহজে বোঝা এবং লেখার সুবিধার জন্য IP Address কে বাইনারি ফরমেটে না লিখে ডেসিমেল ফরমেটে লিখা হয়। যা নিম্নরুপ :

192.168.0.1 (ডেসিমেল ফরমেট)

উপরে এই পুরোটা নিয়ে একটি এড্রেস। এখানে যে ডট (.) দিয়ে আলাদা করা ৪ টি সংখ্যা দেখছেন, প্রতিটি সংখ্যা ৮ বিটের বাইনারি সংখ্যাকে প্রকাশ করছে। IP address এর সর্বত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে একে ৫টি ক্লাসে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে :

CLASS A শুরু 0.0.0.0 থেকে 127.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.0.0.0
CLASS B শুরু 128.0.0.0 থেকে 191.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.0.0
CLASS C শুরু 192.0.0.0 থেকে 223.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0
CLASS D শুরু 224.0.0.0 থেকে 239.0.0.0 পর্যন্ত [মাল্টিকাস্টের জন্য সংরক্ষিত]
CLASS E শুরু 240.0.0.0 থেকে 255.0.0.0 পর্যন্ত [রিসার্চের জন্য সংরক্ষিত]

এখানে 127.0.0.0 কে লুপ ব্যাক এড্রেস বলা হয়, অর্থাৎ এটি কম্পিউটারকে নিজের নেটওয়ার্কই নির্দেশ করে যা টেস্টিং এর জন্য ব্যাবহৃত হয়।

এর মধ্যে প্রাইভেট IP Address গুলো হচ্ছে :
CLASS A শুরু 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত
CLASS B শুরু 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত
CLASS C শুরু 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত

এই এড্রেসগুলো শুধুমাত্র অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক তৈরীর জন্য রাখা হয়েছে। তাই এইসব প্রাইভেট IP Address গুলো দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারব কিন্তু এই Address গুলো দিয়ে সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না।

খুব বেশী কি জটিল মনে হচ্ছে? তাহলে একটু সহজ করে দেই…. প্রথমে Control Panel > Network Connections > Local Area Connection (ল্যান কার্ড ইন্সটল থাকতে হবে) এ ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে।

এখান থেকে Internet Protocol (TCP/IP) সিলেক্ট করে Properties বাটন ক্লিক করুন। সেখানে নিচের উইন্ডোটি পাবেন:

এবার IP Address এবং Subnet Mask বসান। আপনি যদি নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করতে চান সেক্ষেত্রে প্রাইভেট IP Address ব্যবহার করা উচিত। তাই প্রথম কম্পিউটারটির IP Address দিন 192.168.0.1, তারপরেরটি 192.168.0.2,…… এভাবে 192.168.0.254 পর্যন্ত ক্রমানুসারে প্রতিটি কম্পিউটারে IP Address বসাতে থাকুন। এক্ষেত্রে সাবনেট মাস্ক (Subnet Mask) সব কম্পিউটারে হবে একই 255.255.255.0 । ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত না হতে চাইলে IP Address এবং Subnet Mask বসানোই যথেষ্ট।

তবে আপনার নেটওয়ার্কটিকে যদি ইন্টারনেটের সথে যুক্ত করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত Gateway Address এবং DNS Server Address বসাতে হবে। যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত, সেই কম্পিউটারটির জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের দেয়া Gateway Address এবং DNS Server Address বসাতে হবে (যদি GPRS Modem ব্যবহার করেন তবে Gateway Address বা DNS Server Address বসাতে হবে না)। ইন্টারনেট যুক্ত এই কম্পিউটারটিকে সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করে অন্য কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তাই অন্য কম্পিউটারগুলোর (Client) জন্য Gateway Address এবং DNS Server Address হবে সার্ভার কম্পিউটারের IP Address। বোঝাতে পারলাম কি??

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট যুক্ত নেটওয়ার্কে যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সেই কম্পিউটারটিকে Server হিসেবে ব্যবহার করব এবং বাকি সকল কম্পিউটারকে Client হিসেবে ব্যবহার করব। সকল কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সার্ভার কম্পিউটারটি সব সময় চালু রাখতে হবে। সার্ভার কম্পিউটারটি বন্ধ করলে নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না, তবে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং/ফাইল শেয়ারিং চালু থাকবে। যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে নেটওয়ার্কে সার্ভারের কোন প্রয়োজন নেই, তখন সব পিসিই হবে ক্লায়েন্ট।

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১:০৪ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ১)

মাহমুদ

LAN বলতে Local Area Network বোঝানো হয়। এই LAN দুটি পিসি থেকে শুরু করে ছোট পরিসরে অসংখ্য পিসির মধ্যে হতে পারে। শুধু পিসিই নয় LAN এ যুক্ত হতে পারে প্রিন্টার, আইপি ফোন, সার্ভারসহ IP সাপোর্ট করে এমন যেকোন ডিভাইস। আপনি এই LAN কে চাইলে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে পারেন অথবা শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে ফাইল বা কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মধ্যেও সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। এখন অনেকেই মাল্টিপ্লেয়ার গেমসের সাথে পরিচিত, ল্যান করে মাল্টিপ্লেয়ার গেমস খেলার মজাই আলাদা।

আসুন এবারে দেখা যাক LAN তৈরী করার জন্য আপনার কি কি জিনিষ লাগবে :
১। UTP LAN Cable (CAT6 হলে ভালো, না হলে CAT5 হলেও চলবে)।

২। RJ45 Connector (Micronet এরটা বেশ ভালো)।

৩। ক্রিমপার (Crimper)।

৪। মাদারবোর্ডের বিল্ট-ইন LAN পোর্ট অথবা LAN Card।

৫। হাব (HUB) অথবা সুইচ (Switch) [যদি দুই এর অধিক পিসির মধ্যে LAN করতে চান]।

প্রথমে ধরে নিচ্ছি আপনি দুটি পিসির ভেতরে ল্যান করবেন। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে আপনার দুটি পিসির মধ্যে দূরত্ব অনুযায়ী UTP Cable কেটে নিন। UTP Cable এর সবোচ্চ দূরত্ব ১০০ মিটার। এর বেশী দূরত্ব হলে মাঝে ১০০ মিটার পরপর হাব অথবা সুইচ ব্যবহার করতে হবে। Cable এর মাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্যাবল কাটার জন্য Crimper ব্যবহার করুন। Cable কাটার পরে কভারটি সরালেই ভেতরে আরও ৪ জোড়া চিকন ক্যাবল দেখতে পাবেন। এদের রং হচ্ছে কমলা, নীল, সবুজ, খয়েরী। এটি যদি CAT6 ক্যাবল হয় তবে এর ভেতরে বাড়তি একটি প্লাস্টিকের দন্ড থাকে।

এবার ক্যাবলের দুই প্রান্তে কানেক্টর লাগানোর পালা, 8B RJ45 Connector দুভাবে সাজিয়ে লাগানো যায়। একটি হচ্ছে T568A এবং অন্যটি T568B। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন।

চিত্রে ১ নং পিন থেকে ৮ নং পিন পর্যন্ত ক্যাবল সাজানোর কৌশল দেয়া আছে। আপনি যদি একই ধরনের ডিভাইস (যেমন : পিসি টু পিসি অর্থাৎ দুটি কম্পিউটারের মধ্যে) LAN করেন, তাহলে আপনাকে Crossover Cable করে ডিভাইস দুটি কানেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ ক্যাবলের একপ্রান্তে কানেক্টরের বিন্যাস হবে T568A এর মত এবং অন্যপ্রান্তের কানেক্টরটির বিন্যাস হবে T568B এর মত। নিচের চিত্রে Crossover Cable তৈরী করার একটি উদাহরন দেয়া হলো।

কিন্তু আপনি যদি ভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন (যেমন: পিসি টু সুইচ) সেক্ষেত্রে Straight Through Cable দিয়ে ডিভাইসগুলোকে কানেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ তখন ক্যাবলের দুই প্রান্তের কানেক্টরেরই বিন্যাস হবে T568A অথবা T568B যেকোন এক ধরনের। নিচের চিত্রের Straight Through Cable এর উদাহরনটি লক্ষ্য করুন।

কখন Straight Though আর কখন Crossover ব্যবহার করবেন এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি নিচে একটি তালিকা দিচ্ছি :

straight-through cables ব্যবহার করুন :
১। Switch to router
২। Computer to switch
৩। Computer to hub

Crossover cables ব্যবহার করুন :
১। Switch to switch
২। Switch to hub
৩। Hub to hub
৪। Router to router
৫। Computer to computer
৬। Computer to router

৮টি চিকন ক্যাবল চিত্রের মত করে সাজানো হয়ে গেলে ক্যাবলগুলোর মাথা Crimper এর সাহায্যে কেটে সমান করে নিন। এবার ধীরে যত্নসহকারে ক্যাবলগুলোকে একই সাথে কানেক্টরে ঢোকান, খেয়াল রাখবেন কানেক্টরের ভেতরে একটি ক্যাবল যেন অন্য আর একটির ওপর ওভারল্যাপ না করে। ঢোকানো হয়ে গেলে কানেক্টরের ওপর দিক থেকে তাকিয়ে দেখুন সবগুলো তার জায়গামত বসেছে কিনা এবং শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেছে কিনা। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তবে কানেক্টরটিকে Crimper এর 8B Connector ছিদ্রে বসিয়ে লিভারে চাপ দিন। কট্ করে একটি শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত চাপ দিতে থাকুন। ব্যাস, আপনার ক্যবলে কানেক্টর লাগানো শেষ।

এখন আপনি যদি দুইয়ের অধিক কম্পিউটার ল্যানে যুক্ত করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে হাব অথবা সুইচ ব্যবহার করতে হবে। হাব এবং সুইচ দুটিই প্রায় একই কাজ করে যদিও সুইচ হাব অপেক্ষা দ্রুত এবং নিরাপদ। কিন্তু হাবের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং ছোট নেটওয়ার্কে হাব এবং সুইচের পারফরমেন্স প্রায় একই হওয়ায় অনেকেই এখনও হাব ব্যবহার করেন। বাজারে ৮ পোর্টের DLink সুইচের দাম পড়বে ১২০০/= টাকার মত। এটি সাধারন মানের Switch, এর চাইতে ভালো পারফরমেন্স চাইলে Manageable Switch ব্যবহার করতে হবে যার দাম ১৫,০০০/= টাকা যা ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ৮ পোর্টের সুইচ দিয়ে আপনি ৮ টি পিসিকে কানেক্ট করে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারবেন। এর চাইতেও বেশী কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কানেক্ট করার প্রয়োজন হলে অধিক পোর্টের সুইচ অথবা একাধিক সুইচ ব্যবহার করতে পারবেন। সুইচ ব্যবহার করে স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কের চিত্র নিচে দেয়া হলো।

উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন, এখানে মাঝখানে যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হচ্ছে Switch আর তার চারপাশে পিসি এবং অন্যান্য IP Device গুলো রয়েছে। স্টার টপোলজিতে কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসগুলো সুইচ বা হাবকে কেন্দ্রে রেখে পুরো নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। নেটওয়ার্কের একটি পিসি থেকে অন্য পিসিতে ডাটা পাঠাতে গেলে ডাটাটি প্রথমে সুইচে যাবে তারপর সুইচ বলে দেবে কোন পোর্ট দিয়ে গেলে গন্তব্যের (Destination) পিসিতে পৌছানো যাবে, তখন ডাটাটি সেই পোর্ট দিয়ে গন্তব্যের (Destination) কম্পিউটারে পৌছে যাবে। অর্থাৎ স্টার টপোলজিতে সুইচ বা হাব সবসময় ভায়া হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং যদি আপনি সুইচ বা হাবটি বন্ধ করে রাখেন, তাহলে আপনার পুরো নেটওয়ার্কই বন্ধ হয়ে থাকবে। কারন সুইচ দিয়েই পিসিগুলো কমিউনিকেট করছে।এখানে মনে রাখবেন, পিসি থেকে সুইচ পর্যন্ত Straight-through Cable ব্যবহার করতে হবে। কারন সুইচ এবং পিসি ভিন্ন ধরনের ডিভাইস। সাধারন সুইচে কোন ধরনের কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয় না।

সূত্র

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১২:৪৯ am 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

এডোব ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল

টিপলু বড়ুয়া tiplub@yahoo.com

Hand Tool-এর ব্যবহার: এই টুলটি দ্বারা ইলাস্ট্রেটরে কাজ করা কোনো আর্ট ওয়ার্ককে সহজে বিভিন্ন দিকে প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। টুল বক্সে হাতের মত যে টুলটি দেখা যায় সেটিই হল হ্যান্ড টুল। ইলাস্ট্রেটরে কাজ করার জন্য প্রত্যেকটি ধাপে এই টুলের ব্যবহার রয়েছে। টুলবক্স থেকে হ্যান্ড টুল সিলেক্ট না করে কীবোর্ড থেকে Spacebar চেপে ধরেও হ্যান্ড টুলের কাজ করা যায়।
Zoom Tool-এর ব্যবহার: ইলাস্ট্রেটরে করা কোনো কাজের ভিউকে বড় অথবা ছোট করে দেখার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়। এই টুলটির মাধ্যমে কোনো আর্টওয়াককে খুব ছোট পরিসরে অথবা বৃহৎ পরিসরে দেখা যায়। টুলবক্স থেকে জুম টুলটি সিলেক্ট করে স্ক্রিনে মাউস দিয়ে ক্লিক করলে ভিউ বড় করে দেখাবে। তাছাড়া কী বোর্ড থেকে Ctrl+ এবং Ctrl- চেপে যথাক্রমে ভিউ বড় অথবা ছোট করে দেখানো যায়। তবে এর চেয়ে কম সময়ে যদি ভিউ বড় ছোট করে দেখতে চান তাহলে Ctlr+Spacebar চাপুন তখন ভিউ বড় করে দেখাবে। আবার Ctrl+Alt+Spacebar চাপুন তখন ভিউ ছোট হবে।
এডোব ইলাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় কম্পিউটার স্ক্রিনে যে সব প্যালেট দেখা যায় তা প্রদর্শন করার বিভিন্ন অপসন রয়েছে। যেমন: Window menu তে গিয়ে Style Libraries-এ ক্লিক করলে সেখান থেকে যেকোনো একটি স্টাইল সিলেক্ট করলে স্টাইল প্যালেট প্রদর্শিত হবে। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যে বিভিন্ন প্যালেট প্রদর্শন করা যায়। যেমন: Transparency — Shift+Ctrl+F10, Align — Shift+F7, Transform — Shift+F8, Symbols — Shift+Ctrl+F11, Stroke — F10, Pathfinder — Shift+Ctrl+F9, Layers — F7, Graphic Style — Shift+F8, Gradient — F9, Color — F6, Attributes — Ctrl+F11, Appearance —Shift+F6 ইত্যাদি। উল্লেখ্য, মাউস দিয়ে যেকোনো প্যালেটকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করা যায়।
কোনো অবজেক্টকে Group বা Ungroup করা: একের অধিক কোনো অবজেক্টকে প্রয়োজন অনুসারে গ্রুপ বা আনগ্রুপ করতে ওই অবজেক্টগুলোকে সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে গ্রুপ সিলেক্ট করতে হয়। আনগ্রুপ করতে একই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যেও গ্রুপ বা আনগ্রুপ করা যায়। একাধিক অবজেক্টকে গ্রুপ করতে Ctrl+G চাপুন। আর একাধিক অবজেক্টকে আনগ্রুপ করতে Shift+Ctrl+G চাপুন।
কোনো অবজেক্টকে Lock করে রাখা: কোনো আর্টওয়ার্কে অনেকগুলো অবজেক্টকে একত্রে সিলেক্ট করে কাজ করার সময় দেখা যায় কোনো অবজেক্টকে ভুলে সিলেক্ট করা যায়নি। তাই এ ভুলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে অবজেক্টটির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয় সে অবজেক্টটিকে লক করে রাখা উচিত। সাধারণত যে অবজেক্টটিকে লক করে রাখতে হবে সেটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে লক অপশনে যেতে হবে অথবা আনলক করতে চাইলে একইভাবে আনলক করা যায়। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যে কোনো অবজেক্টকে লক বা আনলক করা যায়। যে অবজেক্টটিকে লক করতে হবে সেটি প্রথমে সিলেক্ট করুন। এরপর Ctrl+2 চাপুন। আবার যে অবজেক্টটিকে আনলক করতে হবে সেটি প্রথমে সিলেক্ট করে Ctrl+Alt+2 চাপুন। অবজেক্টটি আনলক হয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, লক করা কোনো অবজেক্টকে আনলক না করে মুভ করা, সিলেক্ট করা এবং এডিট করা যায় না।
কোনো অবজেক্টকে Hide করা: কোনো আর্টওয়ার্কে অনেকগুলো অবজেক্ট নিয়ে একসাথে কাজ করার সময় কাজের সুবিধার্থে সিলেক্ট করা অবজেক্টকে কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য করা যায়।
ইলাস্ট্রেটরের টুলবার থেকে সিলেকশন টুল নির্বাচন করে যে অবজেক্টটি বা অবজেক্টগুলো হাইড করতে হবে সেগুলো সিলেক্ট করুন।
এরপর Object থেকে Hide Selection-এ যান। আবার হাইড করা অবজেক্টকে প্রদর্শন করার জন্য Object থেকে Show All-এ যান।
তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যেও কোনো অবজেক্টকে হাইড করা বা পুনরায় প্রদর্শন করা যায়। কোনো অবজেক্টকে হাইড করতে Ctrl+3 চাপুন। আবার কোনো অবজেক্টকে পুনরায় প্রদর্শন করতে Ctrl+Alt+3 চাপুন।
কোনো অবজেক্টকে Arrange করা: অনেকগুলো অবজেক্ট নিয়ে একসাথে কাজ করার সময় কোনো অবজেক্টকে অন্য অবজেক্টের নিচে অথবা উপরে নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে কারণ এতে কাজের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।
টুলবার থেকে স্টার টুলটি নির্বাচন করে কম্পিউটার স্ক্রিনে এটি এঁকে নিন। এরপর কালার প্যালেট থেকে যেকোনো একটি কালার দিয়ে এটির ফিল করে নিন। একইভাবে টুলবার থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে তাও এঁকে নিন। এটি রং করে নিন কিন্তু এতে একটু ভিন্ন রং করুন। এরপর এই দুটি অবজেক্টকে একসাথে আংশিক লাগিয়ে রাখুন। দেখা যাবে একটি অবজেক্ট অন্য একটি অবজেক্টের উপর স্থাপিত হয়েছে। এখানে যে অবজেক্টটি নিচে আছে তা যদি উপরে স্থাপন করা হয় তাহলে সেটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Front-এ যান। তখন নির্বাচিত অবজেক্টটি সামনে চলে আসবে।
দুটি বা তার বেশি কোনো অবজেক্টের মধ্যে কোনো অবজেক্টকে পিছনে নিয়ে স্থাপন করতে চাইলে ওটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Back-এ যান।
কয়েকটি অবজেক্ট থেকে কোনো অবজেক্টকে অন্য অবজেক্ট থেকে এক লেবেল সামনে আনতে চাইলে তাহলে ওটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Forward-এ যান।
একইভাবে কোনো অবজেক্টকে এক লেবেল পিছনে নিয়ে যেতে চাইলে ওই অবজেক্টটি সিলেক্ট করে একইভাবে Bring to Backward-এ যান।
অর্থাৎ Bring to Front দিয়ে অবজেক্টকে সামনে আনা যায়, Bring to Back দিয়ে অবজেক্টকে পিছনে নেয়া যায়, Bring to Forward-এ গিয়ে অবজেক্টকে এক লেবেল সামনে আনা যায় এবং Bring to Backward দিয়ে অবজেক্টকে এক লেবেল পিছনে নেয়া যায়।
কোনো অবজেক্টের বিভিন্ন অংশকে সিলেক্ট করা: কোনো অবজেক্টকে সিলেক্ট করার জন্য সিলেকশন টুল ব্যবহার করে সিলেক্ট করা যায়। তাছাড়া Select Menu-তে গিয়ে সিলেক্ট বা ডি-সিলেক্ট করা যায়। তবে কীবোর্ডের সাহায্যেও কোনো অবজেক্টকে সিলেক্ট বা ডি-সিলেক্ট করা যায়। যেমন: কোনো আর্টওয়াকের সব অবজেক্ট একসাথে সিলেক্ট করতে Ctrl+A চাপুন। কোনো অবজেক্টকে ডি-সিলেক্ট করতে Ctrl+Shift+A চাপুন। তাছাড়া সিলেক্ট মেনু থেকে কোনো অবজেক্টকে রি-সিলেক্ট এবং ইনভার্সও করা যায়। কোনো আর্টওয়ার্কে বিভিন্ন রংয়ের অবজেক্টের মধ্যে একই ধরনের কালারের অবজেক্ট সিলেক্ট করতে প্রথমে সিলেক্ট মেনুতে যেতে হবে। এরপর Same Option-এ গিয়ে Fill Color অথবা Stroke Color Select করতে হবে। ফলে একই রংয়ের সব অবজেক্টই সিলেক্ট হয়ে যাবে।
কোনো টেক্সট বা অবজেক্ট-এর কালারের পারসেন্টেজ কমানো বা বাড়ানো: অবজেক্টের রং কমানো বা বাড়ানোর কাজ করতে হলে প্রথমে ট্রান্সপারেন্সি অপশনে যেতে হবে। কীবোর্ড থেকে Shift+F10 চাপুন। তারপর ট্রান্সপারেন্সি যত টাইপ করে দেয়া হয় তত পারসেন্ট কালার দেখা যাবে।
Brush Palette থেকে ব্রাশ সিলেক্ট করে বর্ডার তৈরি করা: যেকোনো ধরনের বর্ডার তৈরি করার জন্য প্রথমে টুলবক্স থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে এটি আর্টবোর্ডে এঁকে নিন। এর এটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Window>Brush Libraries>Border Sample যেতে হবে। তারপর রেকটেঙ্গুলারটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় বর্ডার সেম্পল থেকে যেকোনো একটি বর্ডার সিলেক্ট করুন। ফলে ওই রেকটেঙ্গুলারটির চারদিকে একটি বর্ডার তৈরি হবে।
Brush Palette-এ নতুন করে ব্রাশ তৈরী করা: ব্রাশ প্যালেটে যে সমস্ত ব্রাশ আছে এগুলো ছাড়া নিজের ইচ্ছেমত ব্রাশ তৈরি করা যায়। এটি করার জন্য প্রথমে ব্রাশ তৈরি করার জন্য যে সিম্বল বা টেক্সট নির্বাচন করতে হবে তা আর্টবোর্ডে আঁকতে হবে। এরপর উইন্ডো থেকে ব্রাশ লাইব্রেরি অথবা ব্রাশেস অপশনে যেতে হবে। তারপর যে অবজেক্টটি বর্ডার হিসেবে তৈরি করতে চান সেটি মাউস দিয়ে ড্র্যাগ করে ব্রাশ প্যালেটে রাখতে হবে। ফলে নতুন করে একটি ব্রাশ তৈরি হবে। এরপর টুলবক্স থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে আর্টবোর্ডে একটি রেকটেঙ্গুলার অংকন করে সেটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় তৈরিকৃত ব্রাশটিতে ক্লিক করলে ঐ রেকটেঙ্গুলারের চারদিকে সেই বর্ডারটি প্রদর্শিত হবে।
এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ৭:৫৪ pm 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

পিসির গতি বাড়ানোর টিপস

জান্নাতুল সাদিয়া ( sadctg@rocketmail.com )
Temporary ফাইল ডিলিট করুন: বিভিন্ন প্রোগ্রাম চলাকালীন অনবরত Temporary ফাইল তৈরি হয় যা ওই প্রোগ্রামের জন্য জরুরি। প্রোগ্রামটি বন্ধ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট হবার কথা থাকলেও এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল হার্ডডিস্কের একটি অংশ দখল করে রাখে। এসব টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করলে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেস বৃদ্ধি পায়, ফলে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পাবে। টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করার জন্য Start মেনু থেকে Run- এ ক্লিক করুন কিংবা কীবোর্ড থেকে Winkey+R প্রেস করুন। Run ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, এতে \’%temp%\’\’ লিখে Enter প্রেস করুন। Temp নামের একটি উইন্ডো ওপেন হবে, এতে প্রদর্শিত সমস্ত ফাইল ডিলিট করে দিন।
টেম্পোরারি ফাইল খোঁজার আরেকটি উপায় হল Search>All files and folder-এ ক্লিক করে টেক্সট বক্সে Õ*.temp’ লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। এবার সার্চে প্রাপ্ত সকল ফাইল ডিলিট করুন।
স্টার্টআপ পরিচ্ছন্ন রাখুন: কোনো কম্পিউটারের স্টার্টআপ যত দ্রুত হবে সেই কম্পিউটারের পারফরমেন্স তত বেশি ভাল হবে। Start upএ কোন কোন প্রোগ্রাম লোড হয়েছে তা দেখার জন্য Start মেনু থেকে Run-এ ক্লিক করুন অথবা শর্টকাট কী Win-key+R প্রেস করুন। Run নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এর টেক্সট বক্সে টাইপ করুন \’configure\’\’। এবার Ok বাটনে ক্লিক করুন। System Configuration Utility নামের একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এবার উইন্ডোটির Startup ট্যাবে ক্লিক করুন। কম্পিউটার স্টার্ট হবার সময় যত প্রোগ্রাম লোড হয় তার একটি লিস্ট দেখা যাবে। প্রতিটি প্রোগ্রামের নামের বাম পাশে টিক চিহ্ন দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলোর নামের উপর থেকে (চ)চিহ্ন তুলে দিন। তারপর কম্পিউটারটি একবার রিস্টার্ট দিন।
ক্যাশ পরিষ্কার রাখুন: যখন কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা হয় তখন তা মেমোরির একটি অংশ দখল করে রাখে। পরে অন্য সাইট খুললেও ক্যাশ মেমোরি আগের ওয়েবসাইটটি মনে রাখে এবং কম্পিউটারের গতি হ্রাস করে। তাই ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি পরিচ্ছন্ন রাখুন।
ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করার জন্যMozilla Firefox -এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে কমান্ড দিন History>Show All History Library নামে একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এত প্রদর্শিত ফাইলগুলো ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি ফ্রি রাখুন।Internet Explorer–এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে Tools>Delete Browsing History তে ক্লিক করুন। একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, এর Delete All বাটনে ক্লিক করুন। একটি Warning মেসেজ আসবে, এর Yesবাটনে ক্লিক করুন। ফলে Temporary Internet File, Cookies, History, Form Data, Password ইত্যাদি একসাথে ডিলিট হয়ে যাবে। তাছাড়া এগুলো আলাদা আলাদা করে ডিলিট করার ব্যবস্থাও আছে।
অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইন্সটল করুন: যে সকল প্রোগ্রাম আপনি কখনোই ব্যবহার করেন না কিংবা আগে ব্যবহার করতেন কিন্তু এখন প্রয়োজন হয় না, এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো সিস্টেম থেকে রিমুভ বা Uninstall করে ফেলুন। ফলে সিস্টেমেরFree Space বেড়ে যাবে এবং গতি বৃদ্ধি পাবে। অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইন্সটল করার জন্য Start>Control Panel>Add Or Remove Programs -এ ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামটির নামের উপর Remove বাটনে ক্লিক করে প্রোগ্রামটি সিস্টেম থেকে রিমুভ করে দিন।
অপ্রয়োজনীয় ফন্ট আনইন্সটল করুন: অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো মেমোরির একটি বড় জায়গা দখল করে রাখে। তাই এগুলো আনইন্সটল করা প্রয়োজন তবে লক্ষ্য রাখতে হবে উইন্ডোজের ডিফল্ট ফন্ট যেন ডিলিট হয়ে না যায়। অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো v Uninstall করতে Start>Control Panel>Fonts-এ ক্লিক করুন। এবার এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলোর নামের উপর মাউসের রাইট বাটন প্রেস করে Delete বাটনে ক্লিক করুন।
কম্পিউটারে বেশি RAM যোগ করুন: উচ্চ গতিসম্পন্ন উইন্ডোজের স্বাদ পেতে RAM -এর কোনো বিকল্প নেই। ইদানীং কম্পিউটারগুলোতে বেশ উচ্চমানের RAM ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি যদি পুরোনো কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকেন এবং আপনার র‌্যামটি যদি ৬৪ বা ১২৮ মেগাবাইটের হয়ে থাকে তবে আরেকটি ২৫৬ বা ৫১২ মেগাবাইটের RAM লাগিয়ে নিয়ে পিসির স্পিড কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। RAM যোগ করার ফলে মাল্টিটাস্কিং এনভায়রনমেন্ট অর্থাৎ একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম অনায়াসে রান করতে পারবেন এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের গতি বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি পুরো সিস্টেমের গতি আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
নিয়মিত Disk Cleanup করুন: আমাদের অজান্তে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল কম্পিউটারের মেমোরি দখল করে রাখে। এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করার উপযুক্ত উপায় হল ডিস্ক ক্লিনআপ। ডিস্ক ক্লিনআপ করার জন্য Start>Accessories> System tools>Disk Cleanup-এ ক্লিক করুন। Select Drive উইন্ডো আসবে। এতে ড্রাইভ সিলেক্ট করে Ok বাটন প্রেস করুন। Disk Cleanup উইন্ডো আসবে। View File অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে দিন। এছাড়া উরংশ Disk Cleanup উইন্ডোতে More Option ট্যাবে ক্লিক করে ক্যাটাগরি অনুসারে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি রিমুভ করতে পারেন।
নিয়মিত ডিস্ক ডিফ্র্যাগ করুন: ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার কম্পিউটারের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাটাগুলোকে এক জায়গায় এনে পিসির পারফরম্যান্স বা অ্যাকসেস গতি বাডিয়ে দেয়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ডিস্ক ডিফ্র্যাগ করলে সিস্টেমের গতি অনেক বেড়ে যায়। এজন্য >Accessories>System Tools>Disk Defragmenter- এ ক্লিক করুন। ডিস্ক ডিফ্র্যাগ উইন্ডো ওপেন হবে। এতে ড্রাইভ সিলেক্ট করে Close বাটনে ক্লিক করুন। একটি মেসেজ আসবে, রিপোর্ট দেখা যাবে আর রিপোর্ট দেখতে না চাইলে ঈষড়ংব বাটনে ক্লিক করে দ্বিতীয় ড্রাইভটি সিলেক্ট করে আগের নিয়ম অনুসারে সবগুলো ড্রাইভ ডিফ্র্যাগ করে নিন।
ডিস্ক স্পেস ফ্রি রাখুন: আপনার হার্ডডিস্ক যতই বড় হোক না কেন একটি ড্রাইভের কমপক্ষে ৩০% স্পেস খালি রাখুন। ৩০%-এর কম জায়গা থাকলে সিস্টেমের গতি হ্রাস পায়।
র্স্টাটমেনু স্পিডআপ করুন: উইন্ডোজ এক্সপিতে ডিফল্টভাবে স্টার্টমেনুর স্পিড স্লো কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে এর গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। এজন্য Start>Run–এ ক্লিক করুন। রান ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে। এই বক্সের টেক্সট বক্সে টাইপ করুন \’regedit\’ এবার ok বাটন প্রেস করুন। Registry Editor উইন্ডো ওপেন হবে। এই উইন্ডোর বামপাশের ক্যাটাগরি থেকে HKEY_CURRENT_USER>Control Panel>Dekstop>Menushowdelay তে ডাবল ক্লিক করুন। Edit String উইন্ডো ওপেন হবে। এতে Value Data টেক্সট বক্সের মান ’১’ লিখে এন্টার চাপুন। লক্ষ্য করুন স্টার্টমেনুর স্পিড অনেক বেড়ে গেছে।
মাউস স্পিড বৃদ্ধি করুন: মাউস ধীর গতিতে কাজ করছে? ভাবছেন মাউসটি ভাল মানের নয় কিন্তু জানেন কি আপনি চাইলে সহজে মাউসস্পিড বাড়িয়ে দিতে পারেন। এজন্য Start>Run>Regedit লিখেok বাটনে ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। HKEY_CURRENT_USER>Control Panel>Mouse>Mousespeed- -এ ডাবল ক্লিক করে মান বাড়িয়ে দিন।
পিসি ভাইরাসমুক্ত রাখুন: কম্পিউটার ধীর গতির হবার একটা সাধারণ কারণ হল কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যাবে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিস্টেম ফাইল ও প্রোগ্রাম হারিয়ে যেতে পারে। এজন্য সব সময় একটি আপডেট এন্টিভাইরাস দিয়ে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভ স্ক্যান করুন। কম্পিউটার অতিরিক্ত ভাইরাস আক্রান্ত হলে C ড্রাইভটি ফরম্যাট করুন। আর সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে System Restore করে দেখতে পারেন। সিস্টেম রিস্টোর করার জন্য মেনু থেকে Start>All Programs> Accessories>System Tools>System Restore -এ গিয়ে কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত ছিল এমন একটি তারিখ সিলেক্ট করে দিন। তাহলে কম্পিউটারটি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
পিসির পারফরম্যান্স বৃদ্ধির আরও কয়েকটি টিপস
স্টার্টমেনু থেকে রান ডায়ালগ বক্স ওপেন করে টেক্সট বক্সে লিখুন \’ \’Tree\’। একটি কালো পর্দা ওপেন হয়ে নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যাবে।
রান ডায়ালগ বক্সের টেক্সট বক্সে লিখুন \’Pref etch\’ তারপর কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করুন। প্রিফেচ উইন্ডো ওপেন হলে সমস্ত ফাইল Shift+Delet করে দিন।
এছাড়া রান টেক্সট বক্সে \’temp লিখে এন্টার প্রেস করুন। একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। এখান থেকে সমস্ত ফাইল ও ফোল্ডার শিফট সহকারে ডিলিট করুন।
রান ডায়ালগ বক্স খুলে টাইপ করুন \’ৎবপবহঃ\’, এবার কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করুন। My Recent Document নামক একটি উইন্ডো খুলবে। এবার সব ফাইল ডিলিট করুন।কারণ রিসেন্ট ডকুমেন্ট মেমোরির অনেক জায়গা দখল করে রাখে ফলে সিস্টেম ধীরগতির হতে পারে। উপরোক্ত কমান্ডসমূহ নিয়মিত প্রয়োগের ফলে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান