Laptop

ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি

Windows Vista বাজারে আসার পর নুতন বেশকিছু ল্যাপটপ কম্পিউটারকে উইন্ডোজ ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা হয় । এ সব কম্পিউটারে Windows XP Setup করতে গেলে মেসেজ আসে setup did not find any hard disk. এসব কম্পিউটারে Windows XP setup করতে হলে নতুন করে Windows XP CD তৈরি করে নিতে হয় । নুতন ল্যাপটপ কিনে যারা Windows XP setup করতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই লেখা। Vista যদি আপনার বিরক্তির কারণ হয় তাহলে এখুনি সেটআপ করে নিতে পারেন Windows XP ।

প্রয়োজনীয় সফ্টওয়ার

এ জন্য আমাদেরকে তিনটি সফ্টওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে । এই তিনটি সফ্টওয়্যারের সাথে প্রয়োজন হবে সাটা (SATA) ড্রাইভার । চিন্তার কিছুই নেই সবগুলো সফ্টওয়ার ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে । 1. nlite 2. net fremwork 2.0 3. iso buster

কম্পিউটারের প্রতিটি ডিভাইসের জন্য ড্রাইভার প্রয়োজন হয। যেমন – সাউন্ড ড্রাইভার, মাউস ড্রাইভার, হার্ডডিস্ক ড্রাইভার, সিডিরম ড্রাইভার ইত্যাদি । windows xp যখন বাজারে ছাড়া হয় তখন ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলোতে সাটা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হত না । এ কারণে সাটা হার্ডডিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাইভার windows xp cd –তে দেওয়া হয়নি । বর্তমানে বেশীরভাগ লেপটপ কম্পিউটারেই সাটা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে । windows xp cd-তে সাটা (SATA) হার্ডডিস্ক ড্রাইভার না থাকায় নতুন ল্যাপটপে xp সেটাপ করতে গেলে মেসেজ আসে setup did not find any hard disk. সাটা (SATA) হার্ডডিস্কের জন্য ড্রাইভার না থাকার কারণে এ মেসেজটি আসে । এখানে আমাদের মূল কাজ হচ্ছে windows xp cd-তে সাটা (SATA) ড্রাইভার এড করা । nlite দিয়ে xp সিডিতে যেকোন ড্রাইভার এড করা য়ায় ।

সাটা ড্রাইভার কোথায় পাবেন

প্রতেকটি ল্যাপটপ কম্পিউটার কোম্পানীর নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে । আপনি যে কোম্পানীর কম্পিউটার ব্যবহার করেন সে কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে সাটা (SATA) ড্রাইভার সংগ্রহ করুন। অথবা গুগল থেকে সার্চ করেও সাটা (SATA) ড্রাইভার সংগ্রহ করতে পারেন । বেশীরভাগ কম্পিউটারেই Toshiba হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয় । Toshiba সাটা হার্ডডিস্ক ড্রাইভার দিয়ে একটি সিডি বানালে বেশীরভাগ ল্যাপটপে XP setup করা যাবে ।

Dot Netfremwork 2.0 : net framework ছাড়া nlite setup করা যায় না । তাই আগে ডট নেটফ্রেমওয়ার্ক সেটাপ করে নিন, এরপর nlite setup করুন ।

ডাউনলোড লিংক-

আসুন এবারে আমরা উইন্ডোজ এক্সপি সিডিকে নুতন করে তৈরি করে নেই, যা দিয়ে আমরা নতুন ল্যাপটপ কম্পিউটারগোলোতে উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ করতে পারব । প্রথমেই আইএসও বুস্টার সেটাপ করে রান করুন । এবারে উইন্ডোজ এক্সপি সিডিটি (Original XP CD) ড্রাইভে ঢুকিয়ে দিন । সিডিটি চালু করার পর আই এসও বুস্টারের লঞ্চ স্ক্রীণ থেকে bootable disc এ ক্লিক করুন । এরপর Microsoft Corporation.img এ ক্লিক করে Extract Microsoft Corporation.img ক্লিক করুন । এবারে ইমেজটি সেভ করুন । (Windows XP setup করার শুরুতে স্কীনে লেখা আসে press any key to boot from cd … এটি হচ্ছে Microsoft Corporation.img এর কাজ । কোন ফুল্ডারে কপি করা xp cd বার্ন করলে Microsoft Corporation.img টি কাজ করবে না । এজন্য ইমেজটিকে nlite দিয়ে সিডি বার্ন করায় আগে সেট করে দিতে হবে । Microsoft Corporation.img টি গুগল থেকে সার্চ করেও সংগ্রহ করা যাবে ।)

এবারে একটি ফোল্ডার বানিয়ে এক্সপি সিডিটি ফোল্ডারে কপি করুন । একই ফোল্ডারে Microsoft Corporation.img টিকেও কপি করুন । যে কম্পিউটারের জন্য সিডি তৈরি করবেন ঐ কম্পিউটারে সাটা ড্রাইভারগুলো একটি ফ্লপিতে কপি করে নিন । জিপ ফাইলগুলোকে এক্সট্রাক্ট করার পর ফ্লপিতে কোনো ফোল্ডার ছাড়া এক্সট্রাক্ট করা ফাইলগুলো কপি করুন ।

  • এন লাইট রান করন ।
  • নেক্সট এ ক্লিক করুন ।

SATAWIN 002 small ভিস্তার 
জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 003 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 004 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 005 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 006 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 007 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
TechtunesSATAWIN
 007 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার 
পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 008 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 009 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

SATAWIN 011 
small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  
Techtunes

  • ব্রাউজে ক্লিক করে ফোল্ডারে কপি করা এক্সপি সিডিটি লোড করুন ।
  • কয়েক ধাপ অগ্রসর হয়ে Drivers এন্ড Bootable iso সিলেক্ট করুন ।
  • Insert এ ক্লিক করে ফ্লপি থেকে সাটা ড্রাইভারগুলো এড করুন । এখন nlite দিয়ে সিডি বার্ন করা যাবে । বার্ন করার আগে Microsoft Corporation.img টি এড করে বার্ন কমপ্লিট করুন
  • http://techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/2033/
এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১২:২০ pm 0 মন্তব্য(সমূহ)

//

ল্যাপটপের সাধারণ যত্ন

# ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনোভাবেই এটি হাত থেকে মাটিতে বা শক্ত কোনো স্থানে পড়ে না যায়। কেননা, একটু বাড়তি চাপ লাগলেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ল্যাপটপের এলসিডি মনিটর। আর এ ক্ষেত্রে কোনো রকম বিক্রয়োত্তর সেবাও পাওয়া যাবে না। লক্ষ রাখতে হবে, ল্যাপটপের ওপর ভারী কিছুর চাপ যেন না পড়ে।
# এলসিডি মনিটরে ধুলা জমলে বা ময়লা হলে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে পারেন। শক্ত কোনো কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো।
# যাঁরা ল্যাপটপে মাউস ব্যবহার করেন, তাঁরা অনেক সময় মনের ভুলে কি-বোর্ডের ওপর মাউস রেখেই ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে যান। এ ক্ষেত্রে ল্যাপটপের পর্দায় চাপ পড়লে তা মুহুর্তেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
# ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় লক্ষ রাখতে হবে এর পেছনে, ভেতরের গরম বাতাস বের করার জন্য যে পাখাটি কাজ করে, তার সামনে যেন কোনো বাধা না থাকে।
# ল্যাপটপ কেনার পরপরই ব্যবহার করার আগে কমপক্ষে আট ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে চার্জ দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাধারণত ব্যাটারি পরে আর কোনো সময়েই তার পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না।
# শুধু ব্যাটারির সাহায্যে (বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকা অবস্থায়) ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ চার্জ বাকি থাকতেই বন্ধ করা ভালো।
# ল্যাপটপের কি-বোর্ড তরল নিরোধ (স্পিল প্রুফ) না হলে ব্যবহারের সময় যাতে কি-বোর্ডে কোনো তরল পদার্থ না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
# ল্যাপটপে সব সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে এবং তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
# পেনড্রাইভ, বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি ব্যবহারের আগে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পরীক্ষা (স্ক্যান) ও পরিষ্ককার (ক্লিন) করে নিতে হবে।
# ল্যাপটপের সঙ্গে সাধারণত নিবন্ধিত (লাইসেন্স) অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যায়। অপারেটিং সিস্টেমটি মাঝেমধ্যে হালনাগাদ করা উচিত।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

এর দ্বারা পোস্ট করা ictclb এই সময়ে ১:১১ am 0 মন্তব্য(সমূহ)
লেবেলসমূহ: ,

//

আপনি কি ল্যাপটপ কিনছেন?


বিশাল বাক্স-পেঁটরা আর ঘর ভরা যন্ত্রপাতি নিয়ে শুরু হয়েছিল কম্পিউটারের পথচলা। ছোট হতে হতে সেই কম্পিউটার এখন আপনার হাতব্যাগে। কোনোটা আবার হাতের মুঠোয়। বহনযোগ্য কম্পিউটার এখন যেমন কাজের, তেমনি এটা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের প্রতীক। কোলে রেখেকাজ করা যায় বলে এর নাম ল্যাপটপ কম্পিউটার। আমাদের দেশে করপোরেট কর্মকর্তা, ব্যস্ত নির্বাহীর পাশাপাশি তরুণ প্রজন্েনর হাতে চলে এসেছে ল্যাপটপ কম্পিউটার।আর এ ধারা শুরু হয়েছে বছর তিন-চারেক আগে থেকে । প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, দেশে এখন কম্পিউটার ক্রেতাদের মধ্যে ২০ শতাংশই ল্যাপটপ কিনছে। সারা বিশ্বে এই হার প্রায় ৬০ শতাংশ। ল্যাপটপ বিক্রেতা ও আমদানিকারকদের হিসাবে, আগামী বছর নাগাদ দেশের কম্পিউটার ক্রেতাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ল্যাপটপ কিনবে। কেননা, ডেস্কটপ আর ল্যাপটপের দামের পার্থক্য এখন আর খুব একটা বেশি নয়।

কাদের জন্য ল্যাপটপ
শিক্ষার্থীই হোক বা কর্মজীবী, বাড়িতে বা অফিসে কম্পিউটার তো এখন লাগেই। তবে কথা হলো, কী ধরনের কম্পিউটার আপনার প্রয়োজন−ডেস্কটপ না ল্যাপটপ! নিজের প্রয়োজন না বুঝে হুট করে কম্পিউটার কিনে ফেললে পরে আফসোস হতে পারে। তার চেয়ে আগে থেকে জেনে-বুঝে কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভালো। এমনটাই মনে করেন, রায়ানস আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান। তিনি আরও জানান, কেবল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ব্যক্তির প্রথম কম্পিউটারটি ল্যাপটপই হওয়া উচিত। শুধু ছবি দেখা, গান শোনা, কম্পিউটারে লেখালেখি বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য হলে, ল্যাপটপই যথেষ্ট। আর যদি আপনার আগ্রহ থাকে গ্রাফিকস ডিজাইন বা গেম খেলার দিকে তবে ডেস্কটপই ভালো। কেননা, ডেস্কটপে আপনি প্রয়োজনমতো যন্ত্রাংশ সংযোজন, বিয়োজন করতে পারবেন। অন্যদিকে ল্যাপটপে শুধু র‌্যাম ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বাড়ানোর সুযোগ থাকে। প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশে এসারের ব্যবসায়িক অংশীদার এক্সিকিউটিভ টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকলেছুর রহমান। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করলেন, দেশে চলে এসেছে ওয়াইম্যাক্সের মতো দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি। করপোরেট অফিসের বড় কর্মকর্তা বা সাধারণ শিক্ষার্থী−এখন সবারই প্রয়োজন বিশ্বের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকা। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা গেলেও চাহিদার কতটুকুই বা মোবাইল ফোনের ছোট পর্দা পূরণ করতে পারে? আর সে কথা মাথায় রেখেই ল্যাপটপ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে ছাড়ছে শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের অপেক্ষাকৃত কম দামের এবং ওজনে হালকা ল্যাপটপ কম্পিউটার। যাকে বলা হচ্ছে নেটবুক। তবে এখন দেশে গ্রাফিকসের মতো বড় বড় কাজের উপযোগী ল্যাপটপও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
আসুস ও ডেল ল্যাপটপ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার জানান, ল্যাপটপের এই ছোট্ট সংস্করণকে আমরা বলছি সেকেন্ড পিসি বা দ্বিতীয় কম্পিউটার। ধরুন, আপনার একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার আছে। অপেক্ষাকৃত ভারী এই কম্পিউটার আপনার সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ ও যোগাযোগ রক্ষার জন্য আপনার প্রয়োজন নেটবুক বা ছোট্ট ল্যাপটপ।
বর্তমান বাজারে নোটবুক আর নেটবুক এই দুটি নামে বহনযোগ্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। নোটবুক আসলে পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ কম্পিউটারের নামান্তর মাত্র।

ল্যাপটপ কেনার আগে
আসছে ঈদ। অনেকেই ঈদ বোনাসের টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন। তবে কেনার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। ল্যাপটপ কেনার আগেই কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখলে ভবিষ্যতে নিজের জন্যই ভালো হবে।এ বিষয়ে এইচপি, ফুজিৎসু ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক মুহিবুল হাসান জানান, ল্যাপটপ কেনার আগেই ভালোভাবে আপনার নিজের প্রয়োজনটি বুঝে নেওয়া উচিত। আপনার প্রয়োজন যদি হয় শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার, তাহলে ছোট্ট ল্যাপটপ বা নেটবুকই যথেষ্ট।
যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে
“” যে ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনবেন, তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিন।
“” আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ল্যাপটপের বিভিন্ন রেটিং হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে পারেন।
“” বিক্রয়োত্তর সেবা কেমন এবং ল্যাপটপ আমদানিকারকের বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আছে কি না, খোঁজ নিন।
“” কী কী সমস্যা হলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে আর কোন কোন সমস্যায় পাওয়া যাবে না, তা আগেই জেনে নিন।
“” অপারেটিং সিস্টেম নিবন্ধিত (লাইসেন্স) কি না, তা জেনে নিন।
“” কেনার আগে ল্যাপটপটির ব্যাটারির মান কেমন, তা জেনে নিন।
“” বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নিন ল্যাপটপের র‌্যাম ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কতটুকু বাড়ানো যাবে।
“” প্রসেসরের গতির দিকে লক্ষ রাখুন।
“” ইন্টারনেট ব্যবহার ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সর্বশেষ সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে কি না, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
“” ব্যাটারি, অ্যাডাপ্টর, ব্যাগসহ ল্যাপটপটির মোট ওজন কত তা জেনে বুঝে নিন।

বাজার ঘুরে
দেশের বাজারে আসছে নিত্যনতুন মডেলের ল্যাপটপ কম্পিউটার। এর মধ্যে সাত ইঞ্চি মনিটরের ২০ হাজার ৫০০ টাকা দামের আসুসের ই-পিসি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ১৫ ইঞ্চি মনিটরের এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দামের অ্যাপল ম্যাক বুক প্রোর মতো ল্যাপটপ। নিচে বিভিন্ন দামের কিছু ল্যাপটপের খোঁজ দেওয়া হলো।
৪০ হাজার টাকার নিচে
বর্তমান বাজারে ৪০ হাজার টাকার নিচে যেসব ল্যাপটপ পাওয়া যায়, তার মধ্যে বিভিন্ন মান ও আকারের ল্যাপটপ রয়েছে। বিভিন্ন আকারের নেটবুকও পাবেন এই দামে।
এসার ১০.১ ইঞ্চি মনিটরের ছোট্ট নেটবুক ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা; ১১.৬ ইঞ্চির নেটবুক দাম ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা; ডেল ২১০০ নেটবুক ৩৫ হাজার টাকা; এইচপি মিনি ১১০১০০৬টিউ ৩৩ হাজার টাকা; লেনোভো আইডিয়া প্যাড এস১০ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; আসুস: কে৪০ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; ফুজিৎসু এম১০১০ ৩৫ হাজার টাকা; বেনকিউ ইউ১০১ ৩৩ হাজার টাকা; তোশিবা: এনবি২০০-এ১০১ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; হ্যাসি এফইউ৪০০ ৩৮ হাজার টাকা; পশবুক ১০২ মডেল ২৭ হাজার টাকা এবং প্রোলিংক ২২ হাজার টাকা।
৪১ থেকে ৫৯ হাজার টাকা
এই দামের মধ্যে ভালো মানের পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ কম্পিউটার পাওয়া যাবে। এইচপি ৫৪০ ৪৬ হাজার টাকা; কমপ্যাক সিকিউ৪৫ ৪০২টিইউ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা; এসার: অ্যাস্পায়ার ৪৭৩৬জেড ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা; ৫৮১০টি ৬৯ হাজার ৮০০ টাকা; তোশিবা স্যাটেলাইট এল৩০০-এস৫০২ ৪৯ হাজার টাকা; এল৩১০-এস৪০৮ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা; লেনোভো ৩০০০জি৪৩০ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা; আইডিয়া প্যাড ওয়াই৩৩০ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক এস৭২১১ ৫৫ হাজার টাকা; এল১০১০ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা; ডেল ভস্ট্রো এ৮৬০ ৫৫ হাজার টাকা; ডেল ১৫১০ ৫৯ হাজার টাকা; আসুস: এফ৮২কিউ-টি৪২০০ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা এবং কে৪০আইজে টি৬৫০০ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা।
৬০ থেকে ৯৯ হাজার টাকা
অ্যাপল ম্যাকবুক হোয়াইট ৯০ হাজার টাকা; এ১১৮১ (অ্যালুমিনিয়াম) ৯৯ হাজার টাকা; এইচপি কমপ্যাক প্রোসেরিও সিকিউ২০ ১২২টিইউ ৭২ হাজার টাকা; প্যাভিলিয়ন টিএক্স২ ১০১১এইউ ৯৫ হাজার টাকা; এসার: অ্যাস্পায়ার ২৯৩০ ৬২ হাজার ৮০০ টাকা; ৫৮১০টি ৬৯ হাজার ৮০০ টাকা; আসুস এফ৬এটি৬৫০০ ৬৫ হাজার টাকা; ইউ৬ভিপি৭৩৫০ ৯৮ হাজার টাকা; তোশিবা স্যাটেলাইট এম৩০০পি৪০৬ ৬০ হাজার টাকা; এম১০ এস৪৫০ ৮৫ হাজার টাকা; লেনোভো: ৩০০০ জি২৩০ ৬৩ হাজার টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক এ১১১০ ৬১ হাজার টাকা; এস৬৪২০ ৯৮ হাজার টাকা; ডেল ভস্ট্রো১৫২০ ৬৫ হাজার টাকা এবং ই৬৫০০এন ৯১ হাজার টাকা।
এক লাখ টাকার বেশি
এইচপি কমপ্যাক ২৫১০পি এক লাখ ২০ হাজার টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক ই৮৪২০ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা; কিউ২০১০ এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা; ডেল ল্যাটিচুড ই৬৪০০ এক লাখ তিন হাজার টাকা এবং ই৪৩০০ এক লাখ ৩২ হাজার টাকা। অ্যাপল ম্যাকবুক দি অ্যালুমিনিয়াম এক লাখ ২০ হাজার টাকা; ম্যাকবুক এয়ার এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা; ম্যাকবুক প্রো (১৫ ইঞ্চি) এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সনি ভায়ো ভিজিএন-জেড২৫ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা; সিএস-৩৬ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং জেড-৪৬ এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।

ল্যাপটপে যোগাযোগ ও নিরাপত্তা
ল্যাপটপ কম্পিউটারে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বিভিন্ন ল্যাপটপে এখন আঙ্গুলের ছাপ শণাক্ত করার প্রযুক্তি দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতে আপনার কম্পিউটার চালু করতে হলে আপনার আঙুলের ছাপ লাগবে।এ ছাড়াও আছে চেহারা শণাক্ত করার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে ল্যাপটপ চালু করার আগে ওয়েবক্যামের সাহায্যে ল্যাপটপ আপনার ছবি তুলে তা আগে থেকেই সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। যোগাযোগের জন্য ল্যাপটপের জনপ্রিয় প্রযুক্তিগুলো হলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান), ওয়েবক্যাম, ব্লুটুথ, তারহীন ওয়াইফাই ইত্যাদি।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান